কবিরা তাদের মেধা, মনন আর সৃষ্টিশীলতার সমন্বয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রচিত সেরা সম্ভার ‘কবিতা’র জন্ম দিয়ে থাকেন। সেই কবিতাই হয় শৃঙ্খল মুক্তির প্রতিবাদ কিংবা মানুষের মুক্তির যথার্থ ইঙ্গিত।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’ শিরোনামে শ্রীমঙ্গলে একশজন মুক্তপ্রাণ তারুণ্যদীপ্ত কবি দ্রোহ আর মানবতার কবিতা পাঠ করলেন। অধিকাংশ উচ্চারণে ছিল ক্ষোভ আর প্রতিবাদ, অসংগতির প্রকাশ আর মানবমুক্তির আহ্বান।
এ অনুষ্ঠানটি একটি প্রতিবাদী কবিতা পাঠ আন্দোলনের সূচনা হিসেবে দেখা গেল। পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে এমন আয়োজন করার ঘোষণাও রয়েছে আয়োজকদের বক্তব্যে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা কবি হান্নান কল্লোল। এছাড়া আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি করেন- চিনু কবির, সরকার আজিজ, আশিক আকবর, শহিদ সাগ্নিক, এহসান হাবীব, শামশাম তাজিল, অসিত দেব, হাসান জামিল, সুনীল শৈশব, হাসান জামিল, জাবেদ ভুইয়া প্রমুখ।
অবরুদ্ধ সময়ের কবিতার প্রয়োজনীয় তুলে ধরে কবি হান্নান কল্লোল বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গল শহরের এটি আমাদের দ্বিতীয় অনুষ্ঠান। প্রথম অনুষ্ঠানটি হয়েছিল চলতি বছরের ৩১ আগস্ট ময়মনসিংহের মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। সেখানে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে যে ফ্যাসিবাদের উত্থান, নিপীড়ন ইত্যাদির বিপক্ষে কথা ও কবিতায় প্রতিবাদ জানিয়েছে উপস্থিত কবিরা।
তিনি আরও বলেন, অবরুদ্ধ সময়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো মানবিক কর্তব্য, ভয়কে চুরমার করে যে সাহস সে সাহসের উচ্চারণে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান রয়েছে কবিদের কবিতায়। মানুষের প্রতিটি দুর্যোগের রাতে, প্রতিটি উজ্জ্বল উৎসবে কবিতা যেন মানুষের পাশে থাকে এ ঐকান্তিক প্রার্থনাও রয়েছে কবিদের কণ্ঠে।
এক সময় মঞ্চের ডায়েসে এলেন কবি হান্নান কল্লোল। তিনি পড়ে শুনালেন তার রচিত ‘এরপর এরা একদিন’ এবং ‘একটি রাষ্ট্রিক আরজি’ শীর্ষক দুটো কবিতা। মানুষ এবং মানুষের অধিকার পুনর্ব্যক্ত হলো তার কবিতায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
বিবিবি/ওএইচ/