মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা, সঙ্গীত ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করা হয় তার ২০তম প্রয়াণ দিবসে।
নরেন বিশ্বাসের স্বকণ্ঠে ধারণকৃত আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরেন বিশ্বাসের ছাত্র, সহকর্মী ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান। কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত।
রফিকউল্লাহ খান বলেন, বাংলা ভাষার প্রমিত উচ্চারিত রূপের জন্য শিল্পীর আত্মত্যাগ, নিরলস কর্ম পরিচালনা ছিল অনন্য। শুধু ভাষা নিয়েই ছিল তার নিবিড় গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, প্রতি শুক্রবারের কণ্ঠশীলনের ক্লাস, বিভিন্ন আবৃত্তি ও নাটকের দলের ক্লাসে তার কোনো বিরতি ছিল না।
তিনি বলেন, একসময় নরেন বিশ্বাস চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন। প্রায় অন্ধ চোখে অন্যের হাত ধরে চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলে যেতেন উচ্চারণের ক্লাস নিতে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাষ্ট্রিক সুরুচি প্রকাশের মাধ্যম এ ভাষাটির প্রকাশ আজ আন্তরিক হয়েছে। এছাড়া আজ ভাষার প্রেমময় যাদের কারণে, তাদের মধ্যে অন্যতম নরেন বিশ্বাস।
আলোচনা পরবর্তী সাংস্কৃতিক পর্বে একক আবৃত্তি করেন অধ্যাপক কাজী মদিনা, শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম, ডালিয়া আহমেদ, বেলায়েত হোসেন, মো. আহ্কাম উল্লাহ, ইকবাল খোরশেদ, রফিকুল ইসলাম, শিমুল মুস্তাফা, রেজীনা ওয়ালী লীনা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, অলোক বসু, কাজী মাহতাব সুমন, ফয়জুল আলম পাপ্পু, নাজমুল আহসান, আহসান উল্লাহ তমাল, ফয়জুল্লাহ সাঈদ, সোহেল আনোয়ার, শামসুজ্জোহা, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি, খালেক মল্লিক, মাসুদুজ্জামান, তামান্না তিথি, মাসুম আজিজুল বাশার, শহিদুল ইসলাম নাজু, সুপ্রভা সেবতি ও নাজমুল আহসান তরুণ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/এএ