বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হবে এ আয়োজন। বিজয়ফুল (শাপলা) তৈরি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন প্রমুখ।
আয়োজনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম প্রতিবছর ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত তাদের বীর শহীদদের স্মরণে ‘রিমেমব্রান্স ডে’ পালন করে থাকে। যেসব যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ঐদিন তাদের স্মরণে পোশাকে লাল পপি ফুল ধারণ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের স্মরণে ডিসেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো বিজয় ফুলের প্রচলন করা হচ্ছে।
অতিথিরা জানান, বিজয়ফুল শুধু একটি প্রতীক বা একটি স্মারক নয়, এটি একটি পন্থাও। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলা বিজয়ফুলের প্রতীক। বিজয়ফুলে ছয়টি পাপড়ি ও তার মাঝখানে একটি কলি রয়েছে। মাঝখানের কলিসহ সাতটি ভাগ আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। অন্যদিকে ছয়টি পাপড়ি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাকে স্মরণ করাবে। ছয় দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল বীজবপন করেছিল। বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা আয়োজন শিশু-কিশোর ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো ভালোভাবে ধারণ, লালন ও বিকাশ এবং উদ্বুদ্ধকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবার একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি সচিব মো. নাসিরউদ্দীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বলেও জানানো হয়।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে।
প্রতিযোগিতা তিনটি স্তরে- গ্রুপ ‘ক’ (শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি), গ্রুপ ‘খ’ (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) এবং গ্রুপ ‘গ’ (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস