বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে সামাজিক সংগঠন শেকড় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর এ আয়োজন করে।
প্রদর্শনী শেষে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর, শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে তওহীদ রেজা নূর, নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী।
বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, নিপীড়ন, শোষণ, বাঙালি জাতির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচার এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের হাতে সংগঠিত বাঙালি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’।
প্রামাণ্যচিত্রে অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের প্রত্যক্ষদর্শী চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যারা বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা প্রতিবাদী কণ্ঠে তুলে ধরেছেন।
তারা হলেন- রওশন জামিল (১৯৭১ সালে যশোর জেলার পাকিস্তানি প্রশাসক, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল সেক্রেটারি হিসেবে অবসর নেন), সাংবাদিক তারেক খান (১৯৭১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে শেষ কার্গো দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যান), মোয়াজ্জেম খান (১৯৭১ সালে স্কুলপড়ুয়া কিশোর মোয়াজ্জেম খান, বাবা ছিলেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সে কারণেই জেনারেল নিয়াজীর প্রতিবেশী ছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট) এবং লেখক ও কলামিস্ট তারেক ফাতাহ।
চার প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিশিষ্টজনের বক্তব্য, বিশ্লেষণ, ক্ষোভ, তিরষ্কার আর নিপীড়িত, নির্যাতিত, অসহায় বাঙালি নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতার চিত্র নিয়েই ফুয়াদ চৌধুরী মূলত নির্মাণ করেছেন এই অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র। ৬১ মিনিট ব্যাপ্তির প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আমান উল্লাহ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস