আর ২০১৯ সালে সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য জাপানি লেখক নাওমি ওয়াতানাবে ছাড়াও নবীন বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন মিথিলা আকন্দ। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছেন- যথাক্রমে ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা।
শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাচিকশিল্পী অসীম বিভাকর, আহসান হাবীব ও আয়েশা ফয়েজের বড় মেয়ে অধ্যাপিকা সুফিয়া হায়দার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- তাম্রলিপির সত্ত্বাধিকারী এ কে এম তরিকুল ইসলাম রনি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় সালেহা চৌধুরী এ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমার মা আয়েশা ফয়েজ সাদাসিধে ধরনের নারী ছিলেন। এ কারণে আমাদের কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের কাছে নাও হতে পারেন। কিন্তু এই মা না থাকলে আমরা কেউ-ই বেঁচে থাকতে পারতাম না। আমাদের মায়ের ভালোবাসার শতকরা ৯৫ ভাগ পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। বাকি পাঁচ ভাগ পেয়েছি আমরা পাঁচ ভাইবোন।
অসীম বিভাকর বলেন, আয়েশা ফয়েজ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে নিজে দাঁড়িয়েছেন, সন্তানদের দাঁড় করিয়েছেন। তিনি অন্যের স্বপ্নকে পরিচর্যা করেছেন আমৃত্যু। এ কারণে তিনি অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে নাওমি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলা আমার দ্বিতীয় মাতৃভাষা। এদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। এ সূত্র ধরে বাংলায় লিখে চলেছি।
প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, শিশুসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের মা পরিচয়ের বাইরে একজন আপসহীন নারী আয়েশা ফয়েজ। মুক্তিযুদ্ধে স্বামীকে হারিয়ে একাই লড়াই করে মানুষ করেছেন সন্তানদের।
মাত্র দুটি আত্মজৈবনিক গ্রন্থের মধ্য দিয়ে আসন করে নিয়েছেন দেশের সাহিত্যাঙ্গনেও। শনিবার ছিল তার জন্মদিন। অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন আয়েশা ফয়েজের মেয়ে মমতাজ শহীদ ও রোকসানা আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এইচএমএস/এমএ