ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বহুতল ভবন নির্মিত হলে আরও নিদর্শন প্রদর্শন হবে জাদুঘরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
বহুতল ভবন নির্মিত হলে আরও নিদর্শন প্রদর্শন হবে জাদুঘরে বক্তব্য রাখছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ/ছবি: বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জাদুঘর সভ্যতার স্মৃতিঘর’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ আগষ্ট) বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি।

 

সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট জাদুঘরবিদ ড. এনামুল হক ও বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. রিয়াজ আহম্মদ।   
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাদুঘরের ই-টিকিটিং ব্যবস্থার উদ্বোধন ও জাদুঘরের নিয়মিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা জাদুঘর সমাচার এপ্রিল-জুন ২০১৯ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আজ ১০৬ বছর পূর্ণ করলো। আজকের এই জাদুঘরের মূলে যার অবদান অনস্বীকার্য তিনি হলেন নলিনীকান্ত ভট্টশালী। এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রয়েছে অসামান্য অবদান। ঢাকা জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হিসেবে অনুমোদন দেন তিনি। জাদুঘরে লক্ষাধিক নিদর্শনের মধ্যে মাত্র অল্প কিছু নিদর্শনই প্রদর্শন করা হয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আরও বেশি নিদর্শন প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।  

পত্রিকার মোড়ক উন্মোচনবিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, জাদুঘর হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মানুষের। একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতার ধারক ও বাহক। এটাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। আমাদের সন্তানদের আমাদের গৌরবগাঁথাকে জানানোর কাজটি করতে পারবে একমাত্র জাদুঘর। বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অবশ্যই আমাদের জানতে হবে আড়াই হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। কারণ সামনে এগোতে হলে আমাদের পেছন ফিরে তাকাতে হবে।

ড. এনামুল হক বলেন, জাদুঘরকে জাদুঘর সভ্যতার স্মৃতিঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের চারটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো- সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রকাশনা। একটি জাদুঘর যত বেশি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা এবং প্রকাশনায় উন্নত হবে, তত বেশি সমৃদ্ধ হবে সেই জাদুঘর।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, জাদুঘরকে জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বিস্ময়কর নিদর্শন দেখতে আমরা জাদুঘরে আসি এবং দেখার পর যদি মনের ভেতরে বারবার অনুরণিত হয়, তাহলেই জাদুঘরের উদ্দেশ্য সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।