ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
‘চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী’

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ের ভূমিকার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। তার সাহসী ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে তাকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত লোকসঙ্গীতশিল্পী হিমাংশু গোস্বামীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে বক্তারা এসব কথা বলেন।

একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের প্রযোজনায় নির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী এক মহাপ্রাণ’ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে সাহসী ভূমিকা নেন। একই ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর। কূটনৈতিক হিসেবে লোভনীয় চাকরির মায়া ত্যাগ করে তিনি সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বারবার তার এই ধরনের সাহসী ভূমিকা তাকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছে।

বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী যে ভূমিকা রেখেছিলেন; তখন আরও অনেক কূটনৈতিক সে ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তারা সবাই নিশ্চুপ ছিলেন। সবাই নিজেকে রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন। শুধু তিনিই সে সময় বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর কন্যাদেরই রক্ষা করেননি, সুইডেনে যখন প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে সমাবেশ হয়, সেখানেও তিনি প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রেখেছিলেন। এর জন্য জাতি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

আলোচক বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান কবি ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি দায়িত্ব পালন না করলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। যতদিন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত ও মানচিত্র থাকবে, ততদিন তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ও স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী না থাকলে আমাদের অস্তিত্ব থাকতো না।

আলোচনা পর্ব শেষেই শুরু হয় হিমাংশু গোস্বামীর গানের পালা। প্রথমেই শিল্পী কণ্ঠে তুলে নেন প্রয়াত হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীকে উৎসর্গীত গান ‘হে মহান কীর্তিমান’। এরপর বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে গেয়ে শোনান আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা ‘'আমি যার কথা বলতে এসেছি’। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা গান ‘'বঙ্গবন্ধু কন্যা তুমি জাতির দিশারী’। এরপর তিনি গেয়ে শোনান ‘সিলেট প্রথম আযান ধ্বনি বাবায় দিয়াছে’। এরপর একে একে গেয়ে শোনান দুর্বিন শাহের ‘মারিয়া ভুজঙ্গগতির’, রাধারমনের ‘মুর্শিদ নামে নৌকা ছাড়ো’, শাহ আবদুল করিমের ‘আমি তোমার কলের গাড়ি/ তুমি হও ড্রাইভার’, '৩৬০ আউলিয়ার লাগি ধন্য হইলো যে মাটি', হাছন রাজার ‘লোকে বলে ঘরবাড়ি ভালা না আমার’ ও ‘সোনা বন্দে’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’সহ সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন লোককবির গান।

অনুষ্ঠানস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, সঙ্গীতশিল্পী রফিকুল আলম, সুরকার আকরামুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় ২০২৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
ডিএন/এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।