ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

ঢাকা: সংস্কৃতির সব মাধ্যমই হাজির। নৃত্য-গীত-কবিতা-যাত্রাপালা সবকিছুকে এক সুতোয় বেঁধে শুরু হলো বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব। ২১ দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। উৎসবে প্রতিদিন তিনটি জেলা, তিনটি উপজেলা, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টায় পরিবেশিত হবে লোকনাট্য।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে ছিলো উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিকতা। যাতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাতি গঠনের মূলভিত্তি আমাদের সংস্কৃতি। বর্তমান পৃথিবীতে চীনের যে উত্থান, তার পটভূমি কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লব। এ বাংলার বাইরে সারা বিশ্বে আমাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে আছে। আজকের যে স্বাভাবিকতা, স্বাধীনতা আমরা ভোগ করছি এর কারণ আমরা বাঙালি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি।

কে এম খালিদ বলেন, যতবার এ মঞ্চে দাড়াই ততবারই জাতির জনকের কথা মনে পড়ে। কারণ তিনি এ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বছরের প্রথমেই এ উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর আমরা ৬৪টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করবো। ঢাকায় সর্বশেষ উৎসব হবে। এভাবে সব জেলা, উপজেলায় সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, এটি হবে এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব। শিক্ষায় সংস্কৃতিতে মানবিক মূল্যবোধে, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন যে সংস্কৃতির কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু যেই স্বপ্নটা দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি।

যন্ত্রসংগীত শিল্পী কাজী হাবলুর পরিচালনায় ‘জয়বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির সঙ্গে যন্ত্রসংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী পরিবেশনা শুরু হয়। এর সঙ্গে একাডেমির শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। এরপর প্রথমদিনে উদ্বোধনী আয়োজনের পর ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জেলার পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার পরিবেশনা শেষে একাডেমি প্রাঙ্গনে রাত ৮টায় শুরু হয় ঝিনাইদাহ যাত্রাদলের যাত্রাপালা।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
ডিএন/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।