ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার শাহাদুজ্জামান-রায়হান রাইন’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার শাহাদুজ্জামান-রায়হান রাইন’র

ঢাকা: কে, কোন বইয়ের জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন সে খবর এসে গিয়েছিল আগেই। তবে প্রিয়জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতায় হাজির হয়েছিলেন অনেকেই। তাদের সাক্ষী রেখেই রোববার (১২ জানুয়ারি) ১৪২৫ সনের প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান ও গবেষক রায়হান রাইনের হাতে।

শাহাদুজ্জামানকে ‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’ বইয়ের জন্য সৃজনশীল বই শাখায় এবং রায়হান রাইন ‘বাংলার দর্শন: প্রাক্-উপনিবেশ পর্ব’ বইয়ের জন্য মননশীল বই শাখায় পুরস্কৃত করা হয়েছে। দু’টি বইয়েরই প্রকাশক প্রথমা প্রকাশনা।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের শুরুতেই বিচারকমণ্ডলীর পক্ষে কথা বলেন এর সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ। অনুষ্ঠানে শাহাদুজ্জামানের অভিজ্ঞানপত্র পাঠ করেন সুমন রহমান ও রায়হান রাইনের অভিজ্ঞানপত্র পাঠ করেন ভীষ্মদেব চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারকমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। পারিবারিক কারণে অনুপস্থিত ছিলেন আরেক বিচারক শাহীন আখতার।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় শাহাদুজ্জামান বলেন, বৈশ্বিক ও স্থানীয় চাপে পড়ে বর্তমানে ব্যক্তি জীবন নাজুক অবস্থায় রয়েছে। জীবনান্দ দাশ বলেছিলেন- ‘আমি আলতো করে বাঁচতে চাই’। তবে এখন আলতো করে বাঁচা সম্ভব নয়।

‘বর্তমান বাস্তবতার কারণে উদ্বিগ্নতার মধ্যে যেতে হচ্ছে। লেখালেখির মাধ্যমে ভৌগলিক, স্থানিক চাপ মোকাবিলা করি। সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষের মন ও চোখটার পরিবর্তন করতে চাই। ’

...রায়হান রাইন বলেন, প্রথমদিককার ইতিহাস ও দর্শনবিদরা ইউরোপের বাইরের দর্শনকে অস্বীকার করেছেন। সে জায়গা থেকে অনুসন্ধান করতে থাকি। মূলত আমাদের বাংলার দর্শনকে দেখার চোখটা খোঁজা ছিল আমার গবেষণার বিষয়।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তির বিস্তার কখনই সাহিত্যকে বিপন্ন করেনি। তবে বর্তমান সময়ের তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট সাহিত্যকে আক্রমণ করেছে। তবে এর জন্য যন্ত্র দায়ী নয়। গভীর সংকটের মুখে আজ সাহিত্য। এসব সংকট কখনও আসেনি। এখন পুঁজিবাদ ফ্যাসিবাদে রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় সাহিত্যের চর্চা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, দু’টি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে; সৃজনশীল ও মননশীল। সৃজনশীল সাহিত্যে যদি মননশীলতা না থাকে, মননশীল সাহিত্যে যদি সৃজনশীলতা না থাকে- তাহলে তার পরিপূর্ণতা পায় না। পুরস্কারপ্রাপ্ত বই দু’টি সে হিসেবে পরিপূর্ণ বই।

মতিউর রহমান বলেন, আমরা বইয়ের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। বই পড়ার চেয়ে সংগ্রহ বেশি করি। বইয়ের প্রতি সমাজের আর্কষণ রয়েছে। অনেকেই বলেন, ছাপা বইয়ের কাটতি কমছে। কিন্তু প্রথম আলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রথমার বই প্রকাশ সংগ্রহ ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। ছাপা বইয়ের আসলে কোনো মৃত্যু নেই।

সাহিত্যানুরাগীদের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনের শুরুতেই শারমীন মুস্তাফা আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হে বন্ধু বিদায়’ এবং তাহসিন রেজা আবৃত্তি করেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘যদি আর বাঁশি না বাজে’।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ডিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।