দক্ষিণ আফ্রিকা তথা আফ্রিকার কিংবদন্তী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা তখন জেলে। উইনি ম্যান্ডেলার কবিতাসহ জনতার স্বপক্ষে আরও অনেক কিছুই স্থান পেয়েছিল ঐহিকের আত্মপ্রকাশ সংখ্যায়।
২০১০ সালে বিশ বছর পারি দিয়ে ঐহিক বিষয় ভিত্তিক সংখ্যা প্রকাশে মনযোগী হয়। ঐহিক মূলত মন, মনস্তত্ত্ব নিয়েই কাজ করে গেছে। মুখ ও মুখোশ, বোধ ইত্যাদি এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যা। পাগল সংখ্যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের অ্যাকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হয় ঐহিক। মনোরোগ, মানসিক ব্যধি আক্রান্ত মানুষের অসহায়তা, তাদের অধিকার ও সৃষ্টিশীল মানুষদের মনস্তত্ব নিয়ে আলোচনায় ঋদ্ধ ছিল সংখ্যাটি। বিক্রি হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কপি বিক্রি। পরবর্তীতেও বোধ, কোজাগর প্রভৃতি সংখ্যা পাঠক মহলে সমাদর পায়।
২০১৪ সালে অনলাইনে যাত্রা শুরু হয় ঐহিকের। এরপর ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐহিক বাংলাদেশ শাখা। দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে ঐহিক, ঐহিক বাংলাদেশ ও ঐহিক অনলাইন তিন জায়গা থেকেই নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন ইস্যু। বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সেতু বন্ধনে আজ এক উল্লেখযোগ্য নাম ঐহিক।
এ বছর ত্রিশ বছরে পদার্পণ করলো প্রতিশ্রুতিশীল এ পত্রিকা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কলকাতা বইমেলার মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঐহিকের ত্রিশ বছরে পদার্পণ উদযাপিত হবে। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সম্মানিত হবেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র সম্পাদক, কবি জুয়েল মাজহার, কবি আশরাফ আহমদ। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ থেকে কথাসাহিত্যিক অভিজিৎ সেন, সৈয়দ কওসর জামাল, কবি গৌতম চৌধুরী, কবি রাহুল পুরকায়স্থ, কবি অমর্ত্য মুখোপাধ্যায় ও অতনু ভট্টাচার্য্য।
প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত ঐহিকের সম্পাদক তমাল রায়। ঐহিক বাংলাদেশের সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত মেঘ অদিতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
ভিএস/এইচজে