যা বেশ পাঠকপ্রিয়ও হচ্ছে। এ বছরও আত্মজীবনীর শতাধিক বই এসেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের সামনে বসে ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান।
পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে জানালেন, এবারের মেলায় এখান থেকেই বেরিয়েছে তার আত্মজীবনী ‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’।
বললেন, আমার জীবনের অনেকটাই এসেছে বইয়ে। আবার অনেক কিছুই আসেনি। তবে এসব মিলিয়েই আমার জীবন।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শায়ক বাংলানিউজকে বলেন, সৈয়দ হাসান ইমামের এ আত্মজীবনীর বইটি নানা তথ্যে সমৃদ্ধ। এমন সমৃদ্ধ আত্মজীবনী যদি প্রকাশিত হয়, তাহলে সেটি অবশ্যই পাঠকপ্রিয়তা পাবে।
পড়ুন>> নতুনদের সৃষ্টিশীল বইয়েও প্রাধান্য অনন্যা প্রকাশনীর
‘আত্মজৈবনিক গ্রন্থে শুধু ইতিহাস, সংস্কৃতি বা জীবনের গল্প থাকলেই চলবে না। এর সঙ্গে সাহিত্যরসও থাকতে হবে। তাহলেই পাঠকের চাহিদা তৈরি হবে,’ যোগ করেন তিনি।
এবারের মেলায় আসা আত্মজৈবনিকমূলক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, বদরুদ্দীন উমরের ‘আমার জীবন’ (বাঙলা গবেষণা প্রকাশনা), জিকরুর রেজা খানমের ‘চাকরিজীবনের স্মৃতি’, ড. মোহাম্মদ আমীনের ‘প্রশাসনের অন্তরালে’, হারুন-উজ-জামানের ‘নানা রঙের নানা কথা’ ও আশরাফ আহমেদের ‘মহাজনের ছায়াতলে’ (আগামী প্রকাশনী), কবি মহাদেব সাহার ‘আত্মস্মৃতি ১৯৭৫: সেই অন্ধকার সেই বিভীষিকা’ (অনন্যা), ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের ‘আত্মকহন’ ও গাজী মিজানুর রহমানের ‘ষাটের দশকের স্মৃতিকথা: বর্তমানের শেকড় সন্ধান’ (মাওলা ব্রাদার্স), রিজিয়া রহমানের ‘রক্তমাখা স্মৃতির সাগর’ ও শওকত আলীর ‘অবিস্মৃত স্মৃতি’ (ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ), সন্জীদা খাতুনের ‘শান্তি নিকেতনের দিনগুলি’ (প্রথমা), সোহেল এ চৌধুরীর ‘আমলাতন্ত্র ও আমার জীবন’ (ঐতিহ্য), কালীপদ চক্রবর্তীর ‘অগ্নিযুগের চট্টগ্রাম ও আন্দামানের স্মৃতি’, শমসের চৌধুরীর ‘এক অজানা ব্যক্তির রোজনামচা’ (সাহিত্য প্রকাশ), আবুল ফজলের ‘রেখাচিত্র ৬৬৭’, হরিশংকর জলদাসের ‘বিভোর থাকার দিনগুলি’, সরকার আমিনের ‘এ জার্নি বাই লাইফ’ (বাতিঘর)।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ডিএন/এমএ