ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ ‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

জাতীয় অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষক ড. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, গ্রন্থটির সম্পাদক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধামনমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং গ্রন্থটির নির্বাহী সম্পাদক ও ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

সুলিখিত ৩৩২ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি ২০টি অধ্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যার নিরন্তর সংগ্রামের তথ্যবহুল বিবরণ ও বহু দুর্লভ ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।

গ্রন্থটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্ম, বেড়ে ওঠা, ছাত্রজীবন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ এবং সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ দল পরিচালনাসহ নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জনরায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার বিবরণ। এরপর আসে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র ও কারচুপির নির্বাচন, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে সরকার গঠন এবং পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিদ্যুৎ, কৃষি, মৎস্য, খাদ্য, শিক্ষা, তৈরি পোশাকশিল্পসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার গল্প সাজানো আছে এতে। উল্লেখ করা আছে ভিশন ২০২১, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে সবিশেষ কর্মসূচি নিয়েও। স্বপ্নের পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোসহ বাংলাদেশের দৃশ্যপট বদলে দেওয়া বিষ্ময়কর উন্নয়নের নানা দিক আলোচিত হয়েছে গ্রন্থটিতে।

গ্রন্থটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০০ টাকা। তবে http://nagadnews.com ওয়েব সাইটের এই ঠিকানায় চাইলে পাঠকরা ই-বুক হিসেবে এটি ফ্রি পড়তে পারবেন।

এছাড়া অনলাইনে বই বিক্রি করেও দেশের এমন আরো কয়েকটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে এটি দেওয়া আছে। সেখান থেকেও আগ্রহী পাঠক ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করছি, সেই সময়ে এমন একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের বাইরে যারা আছেন, তারাও যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে পারেন, সেজন্য বইটির ইংরেজি সংস্করণ যেন প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে এমন উদ্যোগ সত্যিই মুগ্ধ করে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত চমৎকার আলোকচিত্রের সংগ্রহ ও সংকলন যারা করেছেন, তাদের অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রীর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনের পথচলা একটি বইয়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। বইয়ের নামটি প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রাম ও পথচলাকে তুলে ধরতে পেরেছে। তিনি তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এই বইয়ে সেই ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি দিনই ইতিহাসের একেকটি অধ্যায়। সুতরাং তার সম্পর্কে দেশের মানুষ এবং বিশ্বকে জানানো আমাদের দায়িত্ব। এই গ্রন্থ সেই দায়িত্ব কিছুটা হলেও পূরণ করবে।

গ্রন্থটির সম্পাদক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শেখ হাসিনার মতো মানুষের ৭৩ বছরের কর্ম সংকলন করা দুঃসাধ্য কাজ। তারপরও একটু একটু করে হলেও আমরা চেষ্টা করেছি। এই বইটি একটি বড় রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। কারণ এখানে অনেক দুর্লভ ছবি ও ঘটনার বর্ণনা আছে। আশা করি এই বই দিয়ে অনেক গবেষণা হবে এবং আরও ভালো কিছু পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এই গ্রন্থটি জাতি বিনির্মাণের ইতিহাস সঠিকভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করবে।

তানভীর এ মিশুক বলেন, ভবিষ্যতে যখন প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও কর্ম নিয়ে দেশে বিদেশে-গবেষণা হবে, তখন এই গ্রন্থটি গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া গ্রন্থটি রেফারেন্স গ্রন্থ হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর ইয়াসিন কবীর জয় ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং ‘নগদ’র শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।