ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লালবাগ (পর্ব-১২)

নভেরা হোসেন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
লালবাগ (পর্ব-১২) নভেরা হোসেন

সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার মিশেলে এই জীবন। একগুচ্ছ মুহূর্তের কোলাজ।

গল্প-উপন্যাস সেই মুহূর্তগুলো ধরে রাখার উৎকৃষ্ট মাধ্যম। পুরান ঢাকার লালবাগকে যেমন সময়ের ফ্রেমে বেঁধেছেন লেখক নভেরা হোসেন। ‘লালবাগ’ একটি নভেলা। এটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে বাংলানিউজের শিল্প-সাহিত্য পাতায়। নভেলাটি পড়তে পাঠক বাংলানিউজে চোখ রাখুন প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার।

১২
মোস্তাকের বাসা হাতিরপুলে। ওখানে স্ত্রী, দুই মেয়ে, ছোট ভাই, মাকে নিয়ে ছোট পরিবার।  মোস্তাকরা তিন ভাই। যুদ্ধের পর মোস্তাকের বাবা সিরাজগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। সিরাজগঞ্জে মোস্তাকের দাদাদের অনেকগুলো তাঁত ছিল, তাঁতের ব্যবসা তখন রমরমা। কিন্তু যুদ্ধের সময় সব তাঁত পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তখন যা পুঁজি ছিল তাই নিয়ে মোস্তাকের বাবা ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসে। প্রথমে রঙের ব্যবসা শুরু করে। বিদেশ থেকে জাহাজে করে রং এনে সারাদেশে সরবরাহ করে। বেশ টাকা-পয়সা হয়ে যায়। এরশাদের আমলে যে কয়েকজন ঢাকায় গার্মেন্টস খোলার অনুমতি পেয়েছে, মোস্তাকের বাবা তাদের মধ্যে একজন। পৈতৃক সূত্রে মোস্তাক গার্মেন্টসের মালিক। ভাইরা সব ইউরোপ, আমেরিকায় চলে গেছে। গাজীপুরে গার্মেন্টস, আশেপাশে  কিছু জমিও কিনে নিয়েছে। রিসোর্টের ব্যবসা করার চিন্তা আছে। গেস্ট হাউসটা সেজন্যই তৈরি করা। মাসে কয়েকবার লাইলীকে নিয়ে ওখানে যায়। লাইলীকে সেইজন্যই ওর উপযুক্ত করে তৈরি করে নিচ্ছে। যেন দীর্ঘদিন ওর রুচির সাথে তাল মেলাতে পারে।

এখন লাইলীর নাম রুমকি হয়ে গেছে। লাইলীর নিজেকে মাঝে মাঝে যাত্রার অভিনেত্রী মনে হয়। ছোটবেলায় লালবাগে অনেক যাত্রা-পালা দেখেছে। নায়িকারা সাজ পোশাক বদলে বৃদ্ধের চরিত্রে আবার ফকিরের চরিত্রে। নানা চরিত্রে অভিনয় করে যেত তারা। ওকেও তেমন অভিনয় করে যেতে হয়। লালু শেখ মেয়ের উন্নতিতে খুব খুশি। পাড়ার লোকেরা মেয়ের নামে নানা কথা বললেও লালু শেখ মেয়েকে কিছু বলে না। প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে বাসার সামনের গলিতে একটা লাল রঙের টয়োটা গাড়ি আসে। সেই গাড়িতে করে লাইলী চলে যায়। পাড়ার যুবক, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই হা হয়ে ওর চলে যাওয়া দেখে। পাড়ার লোকেরা মনে মনে ভাবে ভাই সোবাহানের মতো লাইলীও এক অন্ধকার জগতে প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে সে কোনো দিন ফিরে আসতে পারবে না।

লালু শেখ নির্বিকারভাবে লোকজনের কথা শোনে আর পুরানো আমলের গল্প করতে থাকে। তার দাদা কত বড় সারেং ছিল সেই গল্প। একবার সমুদ্রে ঝড় উঠলো। প্রচণ্ড ঝড়। কারও বাঁচার আশা নাই। তুফানে জাহাজের অর্ধেক পানিতে তলিয়ে গেলো। লালু শেখের দাদা সেই জাহাজ নিজে চালিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেলো। কারও কোনো ক্ষতি হলো না। কিন্তু প্রচণ্ড পরিশ্রমের পর লালু শেখের দাদার বুকে ব্যাথা উঠলো। সেই ব্যথা নিয়ে সে আর কোনো দিন জাহাজ নিয়ে সমুদ্র যেতে পারেনি।

লালু শেখের দাদার অনেক জমি ছিল কিন্তু লালু শেখের বাবা এক মামলায় সবকিছু বিক্রি করে দেয়। শুধু দুইকাঠা জমি পড়ে ছিল। সেখানে লালু শেখ ঘর তোলে। চাচারা সব আলাদা হয়ে চকবাজার, সূত্রাপুরের দিকে চলে গেছে। তাদের অবস্থা অনেক ভালো। ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া শিখিয়েছে। সবাই ভালো ভালো চাকরি করে। জুম্মান শেখ লালু শেখের চাচাতো ভাই চকবাজারে বিশাল মার্কেট গড়ে তুলেছে। ওখানে সোবাহানের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সোবাহান কোনো কথাই শোনে নাই। ছেলের জীবনটা এমনভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে ভেবে লালু শেখের মনের মধ্যে হাহাকার জেগে ওঠে।

লাইলী গাজীপুরে যাওয়ার পর লালু শেখের খুব একা লাগে। ঘরে থাকতে পারে না। মোড়ের চায়ের দোকানে গিয়ে বসে থাকে। চা খায়, বিস্কুট খায়। গল্প করে, নিজের পুরানো দিনের গল্প। লালু শেখ যেন সারাক্ষণ একটি অতীতের মধ্যে বাস করে। বর্তমান তার কাছে দিন গুজারানের উপায় মাত্র। তার মন-মগজ অতীতের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। সেখানে বড় বড় জাহাজ, সারেং, তুফান, দেশ-বিদেশের বন্দর, কত নাম না জানা মানুষ, তাদের বিচিত্র বর্ণ।

গেস্ট হাউসে চলে যাওয়ার তিন-চার দিন পর লাইলী ফিরে আসে। সাথে করে সচ্ছলতাও নিয়ে আসে। তাকে রাজরানির মতো লাগে। দামি পোশাক, গহনা, চেহারায় একটা চাকচিক্য। কমলা, আঙুর, বেদানা নানা ফল, মিষ্টি। লালু শেখ একা আর কত খেতে পারে!

একদিন সকাল বেলা রোখসানা এসে হাজির। লাইলী তখন ঘুমে। ওর দীর্ঘ চুল খাটের পাশ দিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে আছে। রোখসানা মেঝে থেকে চুল উঠিয়ে ওকে ডেকে তোলে।
কীরে লাইলী আর কত ঘুমাবি? দুপুর হইয়া যাইতাছে!
রোখসানার ডাক শুনে হুড়মুড় করে জেগে ওঠে।
কীরে রোখসানা কখন আসলি? ফোন দিলিনাতো।
আমিতো খালার বাড়ি ছিলাম রাতে, ভাবলাম তোরে দেখে যাই। তুইতো এখন আর চুপিও মারিস না। আমাগো ভুইলা গেলি? এখন রুমকি হইয়া শুনি কোথায় কোথায় যাস?
কী করব বল, মোস্তাক সাহেব আমাকে গাজীপুরে তার গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। নাসিমা আপার সাথে কাজটা ভালো হয় নাই। কিন্তু এছাড়া আর উপায় ছিল না। ভাইর জন্য টাকার দরকার।
বুঝি বুঝি সব বুঝি লাইলী, আমাদের জীবন এমন কইরাই নানা ঘাটে ভিড়বে আবার আরেক ঘাটে।
তবু তোর ওপর রাগ হয়, বান্ধবির কথা একবারও মনে হয় না তোর?
নারে রোখসানা তোর কথা সব সময় মনে হয়। তুই বিপদে অনেক বড় উপকার করছিস, কোনোদিন ভুলব না। কিন্তু মোস্তাক সাহেবের চাহিদা মিটাইতে মিটাইতে নিজেরে ভুইল্যা গেছি। মাসে দুই থেকে তিনবার গাজীপুরে যাই। আব্বাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই, তার হার্টের ব্যারাম হইছে। যখন থাকি ঘরের রান্না করি। আব্বা নূরীর মার রান্না একদম খাইতে চায় না। লবণ দিয়া ভইরা রাখে, স্বাদ-বাদ কিছু নাই।

বুঝছি বুঝছি আর বলা লাগবে না। তোর উন্নতি দেইখ্যা আমি খুব খুশি। নাসিমা আপা সারাদিন প্যাচাল পারে তোর লাইগ্যাই নাকি তার প্রেমিক হাতছাড়া হইয়া গেছে। তোর প্রতি তার যে কী রাগ! পাইলে কাঁচা খাইয়া ফেলব।
হা হা হা লাইলী হাসে। আমি তার প্রেমিকরে ভাগাইয়া নেই নাই তার প্রেমিকই ভাইগা গেছে। নাসিমা আপারে বলিস মোস্তাক সাহেবরা কাউরে ভালোবাসে না, তারা ভালোবাসে গোস্ত। মাইয়ালোকের গরম গোস্ত তাদের খাদ্য। এরমধ্যে কোনো ভেজাল নাই।
কেন মোস্তাক শুনছি তোরে অনেক টাকা পয়সা দেয়। গাড়ি দিয়া নিয়ে যায়। তোর জন্য মাস্টার রাখছে ইংরেজি শিখাইতেছে।
হ রাখছে। তাতে আমার কিছু লাভ যে হয় নাই তা না কিন্তু ওই মেয়েটার সাথেও সে শোয়। আমি সহ্য করতে পারি না। একদিন আমারে গাড়ি গাজীপুরে নিয়ে গেলে দেখি ওই মেয়ে আমার ঘরে নাইটি পইরা শুয়ে আছে, এলোমেলো অবস্থা। ঐদিন কী খুন যে চাপছিল মনে। হয় ওই মেয়ে নাহলে মোস্তাকরে দুই টুকরা কইরা ফালাইতে ইচ্ছা করছিল।
তা করলি না কেন?
যা ভাবা যায় সব কী আর করা যায়? চাইলেই কি আজ এই পেশা ছাইড়া অন্য কাজ করতে পারুম?
জানোস লাইলী কিপ্টা মাগি নাসিমা আমাগো দেয় পাঁচশো টাকা আর কাস্টমারদের থেকে হাজার, দুই হাজার টাকা নেয়।
তোরা কিছু বলস না কেন?
বললে কী হবে, বলি না আবার! সে পুলিশের ভয় দেখায়। আমাদের এই জগৎটা একটা গোলক ধাঁধার মতো। একটা বদ্ধ খাঁচা। একবার ঢুকলে আর বাইর হওনের পথ নাই।
সত্যি রোখসানা?
হয় রে বোন। তোরে এই কামে আনছি মাঝে মাঝে নিজের কাছে খারাপ লাগে।
না না তোর কী দোষ? তুই বিপদে আমারে বাঁচাইছোস। অতোগুলা টাকা না পাইলে ভাইর আরও বেশিদিনের জেল হইতো। মতিন কত খাচরামি করে টাকা নিছে। ওর ঐখানে গেলে আমারে চুইষা খাইছে। রোখসানা দুনিয়াটা কি এমন? সব বেটা-ছেলেরই কি এমন লালসা থাকে?
না না তা হবে কেন?
তোর বাপ, ভাই ওরা কি এমন? বাবলু, সে কেমন?
জানি না। মানুষের প্রতি ঘেন্না ধইরা গেছে, কিন্তু তাওতো আমরা বাঁচতে চাই। যেমন করেই হোক কারও খাদ্য হয়ে না হয় আরেকজনকে খেয়ে।
তুই অনেক কথা শিখছস।
রোখসানা তুই বস আমি গোসলটা করে আসি, এক সাথে ভাত খামু। রাতের রান্না করা কই মাছ আছে।
নারে আমার সময় নাই। দুপুরে নাসিমা আপার ঐখানে যাইতে হবে। আজ নাকি বিদেশি পার্টি আসবে অনেকজন, লুসি আপা আনবে। খানা-দানা সব ওখানে হবে। আমাদের নিয়ে বিদেশিরা গাড়ি দিয়া ঘুরবে।
ভালোইতো, দেখ একটারে কাইত করতে পারোস কিনা।
ধুর থুইয়া দে ঐসব কথা। খাবার খাওয়া হইয়া গেলে সবাই হাত ধুয়ে ফেলে। তোর মতো ভাগ্য তো সবার না, একদিন দেখবি মোস্তাক সাহেব তোকে নিকাহ করবে।
হা হা হা লাইলী হাসতে থাকে। তোর মাথা খারাপ হইছে? উনি আমাকে কোন দুঃখে বিয়ে করবে? এতো কিছু ট্রেনিং দিতেছে শেষে বিদেশি পার্টির কাছে বিক্রি করে কিনা কে জানে?
এইটা ভালো চিন্তা করছিস, সাবধান।
হুম আমাদের জীবন হচ্ছে কচুর পাতার উপর যে টলটলে জল তার মতো, গড়াইয়া পড়লেই শেষ।
নারে শেষ কিছু নাই, একবারে সাদা কাফনে শেষযাত্রা তার আগে গাড়ি চলতেই থাকবে। শোন আমাকে এক কাপ চা দে খাই।
কফি খাবি?
কফি আছে?
আছে।
লাইলী রোখসানাকে কফি বানিয়ে দেয়, বয়োম থেকে বিস্কুট বের করে খেতে দেয়।
তোর তো দিন বদলাইয়া গেছে, কী সুন্দর ভদ্রলোক হয়ে গেছিস! আমরা সবাই তোর কথা বলাবলি করি।
লাইলী রোখসানাকে তার পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিতে চায়। রোখসানা বলে এখন নিমু না, যদি কোনোদিন বিপদে পড়ি, কাজ-কাম না পাই তখন নিমু, তোর ব্যাংকে গচ্ছিত থাকুক।

লালু শেখ এখন বেশ সুস্থ। মোড়ের দোকান থেকে আড্ডা মেরে ঘরে ফিরে রোখসানাকে দেখে বলে কেমন আছিস? কখন আসলি? রোখসানা তোর জন্যই আজ আমাদের কপাল খুলছে। তোরে অনেক দোয়া দিয়া দিলাম। তোর অফিসে চাকরি নিয়ে লাইলী সংসারের হালটা ধইরা রাখছে, না হইলে এই বাড়িটাই বিক্রি করে দিতে হইতো।

রোখসানাকে অবয়বটা একটু ফ্যাকাসে হয়ে যায়, সহজ-সরল লালু শেখ জানে না রোখসানা তার মেয়েকে কোন নরকের চুল্লির মধ্যে নিয়ে ফেলছে। এ জন্য রোখসানার মনে গাঢ় বেদনার জন্ম হয়।
জ্বি চাচা লাইলী খুব ভালো কাজ করতেছে, ওর কাজে আমাদের স্যার খুব খুশি, সিলেটে গেলে আপনার অসুবিধা হয় জানি কিন্তু কী করবেন চাকরির জন্যতো যাইতে হবে। বাকি দিনগুলোতে বাড়িতেই থাকতে পারতেছে, আপনার কাছে।
তোমরা আমার মেয়েটাকে দেখে রাইখো, মা মরা মেয়ে, কোনোদিন বাড়ির বাইরে গিয়া থাকে নাই। ভাইটাও জেলে বলে লালু শেখ লুঙ্গি দিয়ে চোখের পানি মোছে।
লাইলী ওরে কিছু খাইতে দে।
আমি খাইছি চাচা, এখন বাসায় যাই।
আচ্ছা আবার আইসো তুমি।
রোখসানা দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে আসে। মনে একটা অপরাধবোধ কাজ করে। লাইলীকেতো এই পেশায় আনলো রোখসানা, লালু শেখ কিছুই জানে না। জানতে পারলে মনে খুব কষ্ট পেতো। রোখসানা দ্রুত রিকশা নিয়ে লালবাগ ছেড়ে বকশিবাজারের দিকে চলে যায়।

নভেরা হোসেন
জন্ম ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, মাদারীপুর শহরে নানাবাড়িতে। শৈশব থেকেই ঢাকায় বেড়ে ওঠা। তিনি লেখাপড়া করেছেন ধানমন্ডির কাকলি উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লিটল ম্যাগাজিনে লেখা শুরু করেছেন ২০০০ সালের পর থেকে। বিশেষত কবিতা, গল্প ও নৃবৈজ্ঞানিক লেখালেখি করেন। e-mail: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।