শাখাওয়াৎ নয়নের প্রথম গল্পের বই ‘ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং একটি টিকটিকির গল্প’ বেরিয়েছে একুশের বই মেলায়। এ প্রজন্মের গল্পকারদের মধ্যে শাখাওয়াৎ নয়ন তার স্থানটি পোক্ত করে নিয়েছেন আরো আগেই।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় গল্পের পেক্ষাপট, লেখার শৈলী, লেখালেখির বিভিন্ন দিক উঠে আসে। শাখাওয়াৎ জানালেন, তার গল্পে ক্ষুধা, প্রেম, দারিদ্র, সামাজিক সঙ্কট, সম্পর্কের টানাপড়েন, আশা-হতাশার নানাচিত্র যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি রয়েছে ভালোবাসা, ভালোলাগার বিভিন্ন দিক।
বেশ আস্থার সঙ্গেই শাখাওয়াৎ নয়নের উচ্চারণ, ‘আশা করি গল্পের বিচারে পাঠক বইটিকে ইতিবাচক করেই দেখবে’।
শাখাওয়তের গল্পগুলো সংলাপ প্রধান। বললেন, আধুনিক সময়টিই সংলাপের গল্পের। সাহিত্য মানুষের মনে যে রসের সৃষ্টি করে গল্পগুলো সে রস দিতে পারবে এমনটাই আমার বিশ্বাস। গল্পগুলোর সঙ্গে নিজের জীবনের কোনো না কোনো একটি ঘটনার যোগসাজশ রয়েছে বলেও জানালেন শাখাওয়াৎ। মাদারীপুরের সন্তান শাখাওয়াৎ লেখা পড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পাবলিক হেলথ’ এ পিএইচডি করছেন।
লাল রঙা ফাটল ধরা দেয়ালের ক্যানভাসে ছায়া টিকটিকির ছবি দিয়ে নামের সঙ্গে অদ্ভুত মিল রেখে প্রচ্ছদ একেঁছেন শাখাওয়াতের বাল্যবন্ধু ও বর্তমানে দৈনিক কালের কণ্ঠের চিফ আর্টিস্ট মাহবুবুল হক।
বইটিতে ৮০ পৃষ্ঠায় ঠাঁই পেয়েছে ১৩টি গল্প। ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং একটি টিকটিকির গল্প ছাড়া অন্য গল্পগুলো হচ্ছে- ডিয়ানি, দেখা, মায়াবতী, অপাঙতেও, শুভ ব্রতের বিড়ম্বনা, নেতা, জানালাময়ী, আশাবরী. সর্পরোগ, জলে ভাসা পদ্ম ও অন্তরাক্ষী।
গল্পে ম্যাজিক রিয়ালিজম বেশি করে ঠাঁই করে নিয়েছে বলেই জানালেন শাখাওযাৎ। বললেন, বইটি নিয়ে প্রত্যাশা অনেক।
বই মেলা উপলক্ষে দেশে এসেছেন শাখাওয়াৎ নয়ন। একটি মাস তার এখানে আনন্দেই কাটবে। উল্লেখ্য শাখাওয়াৎ বাংলানিউজের একজন অতিথি লেখক।