ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

প্রকাশ হলো জীবনীগ্রন্থ ‘দ্য ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
প্রকাশ হলো জীবনীগ্রন্থ ‘দ্য ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার’  জীবনীগ্রন্থ ‘দ্য ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক মুসলেহউদ্দিন আহমেদের জীবনীগ্রন্থ ‘দ্য ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে অধ্যাপক মুসলেহউদ্দিনের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন তার মেয়ে লেখিকা সীমা আহমেদ।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিক্স সিজন্স হোটেলে আয়োজিত প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ জহির। এই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল ভারতের সম্মানজক ‘পদ্মশ্রী’ পদকেও ভূষিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। ভিডিও মাধ্যমে আরও সংযুক্ত হন খ্যাতিমান সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান।

অনুষ্ঠানে ড. গওহর রিজভী বলেন, বাবার প্রতি ভালোবাসার অসামান্য অর্জন ও শ্রম প্রকাশ পেয়েছে এই প্রকাশনায়। ইতিহাস চর্চায় একটি জীবনীগ্রন্থ থেকে এটা অনেক বেশি কিছু।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস, বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রশিদ, ব্যবসায়ী সৈয়দ আখতার হাসান উদ্দিন এবং এপিপিএলের প্রকাশক আহমেদ সরোয়ারুদ্দৌলা।

ড. সেলিম রশিদ বলেন, বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে অধ্যাপক মুসলেহউদ্দিনে স্বপ্নের কথাটা বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন তার মেয়ে সীমা আহমেদ।

সীমা আহমেদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় প্যারিসে নিজের বাসায় বাংলাদেশের দূতাবাস চালু করেন অধ্যাপক মুসলেহউদ্দিন।

বইটিতে অধ্যাপক মুসলেহউদ্দিন আহমেদের জীবনের শৈশব থেকে শুরু করে কূটনীতিক পেশা, মুক্তিযুদ্ধে অবদান এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অর্জনের গল্পগুলো উঠে এসেছে।

‘দ্য ব্রিজ ওভার ট্রাবল্ড ওয়াটার’ বইয়ে পারিবারিক পর্যায় থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অজানা ইতিহাসের মেলবন্ধনের চেষ্টা করেছেন লেখিকা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে, যেখানে ৩ লাখ ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন ১৬ হাজার ২৭৭ জন শিক্ষকের তত্বাবধানে।

পাশাপাশি ৫০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এই ১৪৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে যোগ্য মানব সম্পদ সরবারাহ করছে।

ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চমানের ডিগ্রি দেয় বলে দাবি করেন সীমা আহমেদ।

লেখিকা আরও বলেন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে।

তিনি জানান, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়স আরবানার অনুমোদন ও পর্যালোচনায় ডক্টর সেলিম রশীদের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন অধ্যাপক মুসলেহউদ্দিন।

বইটির প্রকাশনা আয়োজনে সহযোগিতা করে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে জারটাইলসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শায়ক আহমেদ, রূপসা টায়ার্সের পরিচালক মিরাজ রহমান, রিপাবলিক অব কঙ্গোর কনস্যুলেট ও টপ অব মাইন্ডের সিইও জিয়াউদ্দিন আদিল, হাইভোল্টেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসির রশীদ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আমিনুল এহসান এবং সিটি ব্যাংকের পরিচালক শামস জামান অন্যতম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।