ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পেলেন আবুল হোসেন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০
মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পেলেন আবুল হোসেন

বাংলা একাডেমী পরিচালিত ‘মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার’ পেলেন কবি আবুল হোসেন। এ বছরই প্রথম এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

  ২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রফেসর মযহারুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা একাডেমী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারের তহবিল হিসেবে তাঁর স্ত্রী নূরজাহান মযহার ১৫ লক্ষ টাকার চেক বাংলা একাডেমীল মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের হাতে তুলে দেন। এ তহবিলের টাকা তুলে দেয়ার মাধ্যমেই ‘মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়।

পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশের কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য মযহারুল ইসলামের জন্মদিনে প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। মযহারুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি প্রয়াত হয়েছেন ২০০৩ সালের ১৫ নভেম্বর।

কবি আবুল হোসেনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয় চল্লিশের দশকের বাংলা কবিতার আধুনিকায়নে তার বিশেষ অবদান রাখার জন্য। আবুল হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট। ১৯৪০ সালে ‘নববসন্ত’ কাব্যগ্রন্থের মধ্য দিয়ে বাংলা কবিতাঙ্গনে তার আত্মপ্রকাশ। তিনি কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন। অনুবাদ করেছেন বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন কবিতা ও উপন্যাস।

২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টায় বাংলা একাডেমীর সেমিনার কক্ষে আবুল হোসেনকে ‘মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

সভপতির ভাষনে কবীর চৌধুরী বলেন, ‘লোকজসাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে মযহারুল ইসলাম যে অবদান রেখেছেন, তা ভবিষ্যতের ফোকলোরবিদদের গবেষণাকর্মেও বিশেষ প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া মযহারুল ইসলাম কেবল একজন  ফোকলোরবিদই ছিলেন না, তিনি একজন ভালো কবিও ছিলেন। আমি এক সময় তার কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলাম। ’

কবীর চোধুরী কবি আবুল হোসেনের বিষয়ে বলতে গিয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন, ‘আবুল হোসেনের কবিতায় যে আধুনিকতা আছে এটা অসাবধানী পাঠকরাও লক্ষ্য করে থাকবেন। আজকের অনুষ্ঠানে আবুল হোসেন উপস্থিত থাকতে পারলে আমি খুব খুশি হতাম। ’

আবুল হোসেন শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কবির পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সভাপতির হাত থেকে পুরস্কারের ১ লক্ষ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননা গ্রহণ করেন তার ছোট ছেলে সোহেল রেজা খালেদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমী প্রকাশিত মযহারুল ইসলামের একটি জীবনীগ্রন্থেরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। জীবনী গ্রন্থটি লিখেছেন মযহারুল ইসলামের ছোট ভাই প্রফেসর ডক্টর আবদুল খালেক।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৩০, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।