ঢাকা: ‘জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার’র তিন যুগপূর্তি উৎসবে প্রবর্তিত ‘আলোক কুমার রায় পদক’ পেলেন নাট্যকার রাজন নন্দী। শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ও নির্দেশক হিসেবে তাকে এ পদক দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১১ দিনব্যাপী এ নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করা হয়। ‘দৃষ্টিজুড়ে স্বপ্ন শিখর, যুগান্তরের গান’ শীর্ষক স্লোগানের এ উৎসবের উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফারজানা ইসলাম। উৎসব চলাকালে রাজন নন্দীকে এ পদকে ভূষিত করা হয়।
এ বিষয়ে ‘জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের তিন যুগপূর্তি উৎসব’র আহবায়ক ড. কামরুজ্জামান মনির বলেন, এ বছরের নাট্যোৎসবটি সদ্য প্রয়াত আলোক কুমার রায়কে উৎসর্গ করা হয়েছে। তারই স্মরণে ‘আলোক কুমার রায়’ পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। মঞ্চ নাটকে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী আলী জাকেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। রাজন নন্দীকে দেওয়া হয়েছে শ্রেষ্ঠ নাট্যকার এবং নির্দেশকের পদক। আর শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পদক পেয়েছেন সাইদুজ্জামান চয়ন ও বদরুন নাহার।
‘আলোক কুমার রায় পদকে’ ভূষিত হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে নাট্যকার রাজন নন্দী বলেন, ‘প্রথম হাটতে শেখা শিশুটির মতো, যে দু’পা হেটেই মায়ের দিকে ফিরে ফিরে তাকায়। মায়ের হাতে তালি দিয়ে ওঠার মুহূর্তে, শিশুটির চোখে আনন্দের নাচ যদি খেয়াল করে থাকেন-তেমনি বিশুদ্ধ, অকপট আনন্দের এ অনুভূতি’।
রাজন নন্দী রচিত নাটকের মধ্যে ‘২ আগস্ট’ এবং ‘পাঠশালা’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য’। এ নাট্যকার একযুগ ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনে তার সক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্যণীয়। সিডনির এশফিল্ডে বইমেলার আয়োজক সংগঠন ‘একুশে একাডেমি’তে তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ‘অনেকেই একা একা’ (২০১৪) নামে একটি কাব্যও লিখেছেন।
‘আমরা নাট্যশ্রমিক, নাটক আমাদের ঘামের ফসল’ এই মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে আশির দশকের শুরুতে আত্মপ্রকাশ করেছিল জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার। খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী, শহীদুজ্জামান সেলিম এবং ফারুক আহমেদের হাতে উপ্ত সেই বীজ আজ ৩৬ বছরের বৃক্ষ।
বাংলাদেশ সম: ০৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৬
এইচএ/