ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

১০ বছরে নভোএয়ার

টেকনোলজি নির্ভর নিরাপদ এয়ারলাইন্স পরিচালনা আগামীর লক্ষ্য

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
টেকনোলজি নির্ভর নিরাপদ এয়ারলাইন্স পরিচালনা আগামীর লক্ষ্য নভোএয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মফিজুর রহমান। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনায় যাত্রীদের বিশ্বস্ততা অর্জনের মাধ্যমে দশ বছর পূর্ণ করলো বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার। এই দশ বছরে এক লাখের বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে অর্ধ কোটির বেশি যাত্রী বহন করেছে এয়ারলাইন্সটি।

দশ বছরের পূর্ণতায় বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় নানা চড়াই-উৎরাই পেরোনোর গল্পের পাশাপাশি এয়ারলাইন্সের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন নভোএয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মফিজুর রহমান।  

দেশে পরিচালিত এয়ারলাইন্সগুলোর সংগঠন এয়ার অপারেটরস অব বাংলাদেশের মহাসচিব মফিজুর রহমান এভিয়েশন খাত নিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।

বাংলানিউজ: ল্যান্ডমার্ক দশ বছর; শুরুতেই এ নিয়ে অভিব্যক্তি কেমন?
মফিজুর রহমান: এয়ারলাইন্স ব্যবসা খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সামনে চলে আসে। সেই চ্যালেঞ্জের মুখে ১০ বছর একটা তাৎপর্যপূর্ণ সময়। ১০ বছর অতিবাহিত করে সামনে চলা আমাদের জন্য একটা বিরাট শিক্ষা।

বাংলানিউজ: চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১০ বছরের অর্জন কী?
মফিজুর রহমান: স্বাভাবিকভাবেই আমাদের বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকে, প্রতিবন্ধকতা থাকে। প্রয়োজনীয় আইন-কানুনের অনুপস্থিতিও থাকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি বছর ক্রমান্বয়ে স্ট্রাগল করে সফল ১০ বছরের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা এবং আমাদের বিশ্বস্ত যাত্রী যারা নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যেও সঙ্গে আছেন, সেজন্য তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানাই। এটি আমাদের বড় অর্জন।

বাংলাদেশে ডোমেস্টিক রুটে কোয়ালিটি এয়ারলাইন্সের শূন্যতা ছিল। মানুষের মধ্যে একটা নিরাপত্তার অভাবের অনুভূতি ছিল। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, যেন দেশে বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য একটি এয়ারলাইন্স করতে পারি, যা মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করবে, সেবার মানে সন্তুষ্ট করবে। মনে করি আমাদের দুটি মূল উদ্দেশ্যে সফল হয়েছে।

আমাদের গত ১০ বছরের নিরাপত্তার রেকর্ড অত্যন্ত ভালো। দুর্ঘটনা বা এ ধরনের দুর্নাম নেই। আমরা সুনামের সঙ্গে এগিয়ে এসেছি। সেবার দিক থেকেও দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগের যে স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে এসেছি, তাতে সবাই অ্যাপ্রিশিয়েট করে। বিদেশি যারা আমাদের সঙ্গে চলাচল করেন, তারাও আমাদের সার্ভিসের প্রশংসা করেন। শুধু আমরা না, কমপিটিটররা আমাদের ফলো করে সার্ভিসের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এই দিক থেকে বলতে পারি যাত্রীরা লাভবান হয়েছেন, তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমরা অগ্রণী ভূমিকা দেখিয়েছি।

আমরা প্রতিদিন ২৫টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছি। ১০ বছরে প্রায় ৫৫ লাখ যাত্রী বহন করেছি। এটি বিরাট এক মাইলফলক।

২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে নভোএয়ারের যাত্রা শুরু। বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী এবং আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে ও রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করছে।

শুরুতে বহরে অত্যাধুনিক ৮৯ আসনের এমব্রেয়ার ১৪৫ মডেলের তিনটি উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বহরে ৭২ আসনের এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের সাতটি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়। সবগুলোই নিজস্ব উড়োজাহাজ। পর্যায়ক্রমে এমব্রেয়ার ১৪৫ মডেলের উড়োজাহাজগুলো বাদ দেয়া হয়। বর্তমানে বহরে সাতটি উড়োজাহাজ রয়েছে।

বাংলানিউজ: দেশে নতুন এয়ারলাইন্স আসায় চ্যালেঞ্জ তৈরি হলো কি না?
মফিজুর রহমান: যেকোনো ব্যবসায় প্রতিযোগিতা থাকবে, নতুন প্রতিযোগী আসবে- এটিই স্বাভাবিক। নতুন এয়ারলাইন্স এলে দুটি বিষয়- মার্কেট গ্রোথ থাকলে মার্কেটের চাহিদাকে মিটিগেট করতে পারে। কিন্তু প্রতিযোগী এসে যদি দেখে মার্কেটের গ্রোথ নেই বা নেগেটিভ গ্রোথ, যেটি বর্তমানে প্রযোজ্য, সেই ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়- কম ভাড়ায় কে বেশি যাত্রী নিতে পারে। এতে আলটিমেটলি সবাইকেই লসে পড়তে হয়।  

আমরা অতীতে দেখেছি আমাদের অনেকগুলো এয়ারলাইন্স অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে এবং তারা টিকে থাকেনি। এর কারণ সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা না থাকা যেমন খারাপ, তেমনি সেখানে যাত্রীরা তাদের অধিকার থেকে সুলভে ভ্রমণ করতে পারে না। আর চাহিদা ও যোগাযোগের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে মার্কেট শেয়ারের পেছনে দৌড়ালে ইন্ডাস্ট্রিটা দেউলিয়াত্বের দিকে চলে যায়। এই জিনিষটা আমাদের দেখতে হবে। প্রতিযোগী আসবে, থাকবে- এসব ধরেই আমাদের পরিকল্পনা নেওয়া আছে।

বাংলানিউজ: করোনার ইমপ্যাক্ট কাটিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন?
মফিজুর রহমান: আমাদের নেটওয়ার্কটা ডোমেস্টিকে। এখানে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। কিন্তু চাহিদা ভালো এবং ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। তবে ডলারের মূল্য বিবেচনায় ভাড়া কিন্তু কমে গেছে। যেখানে আন্তর্জাতিক রুটে ৬০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বেড়ে গেছে, সেখানে অমাদের ৬১ শতাংশ ভাড়া কমেছে। কারণ, ডলারের দাম বেড়েছে আরেকদিকে তেলের দাম বেড়ে গেছে।  

শুধু করোনার প্রভাব না, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রভাব পড়লো। তেলের দাম বাড়ল, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেল, যার ফলে মানুষের এয়ারে ট্রাভেলের পরিমাণও কমে গেল। ডোমেস্টিক ট্রাভেল এখনও শঙ্কার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যদি তেলের দাম সমন্বয় বা ভাড়া সমন্বয় করা না হয়, তাহলে ডোমেস্টিক ট্রাভেল খুব খারাপ পরিস্থিতিতে চলে যাবে। আবার ভাড়া বাড়ানোর একটি ডাউন সাইড আছে। তখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে আর ট্রাভেল করবে না। উভয় সংকটের মতো। দুটোর সমন্বয় করে চলতে হবে।

বাংলানিউজ: এয়ারক্রাফট বাড়ানো বা রুট বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাই।
মফিজুর রহমান: আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডোমেস্টিক ট্রাভেল। এর সঙ্গে আমাদের সাব-রিজিওনাল ও রিজিওনাল ট্রাভেল। রিজিওনালের মধ্যে ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, জাকার্তা ও মিডল ইস্ট। আমরা এতো দিনে কানেক্ট করে ফেলতাম যদি করোনা ও যুদ্ধের অভিঘাত না থাকতো। এখন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বছরের শেষে বা সামনের বছরের শুরুতে নেটওয়ার্ক এক্সপানশেন করব। কিন্তু শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে যে, ২০২৩ সালে মন্দা যাবে, সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের যাত্রীরা চান যেন আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্প্রসারণটা করি। সেই চাহিদা বিবেচনায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

বাংলানিউজ: ঢাকার বাইরে থেকে ক্রস ফ্লাইট নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাই ।
মফিজুর রহমান: ক্রস ফ্লাইট বিমান আগে থেকে চালু করেছে। ইউএস বাংলাও চালু করেছে। আমরা গত মাসে রাজশাহী থেকে চালু করেছি। সেখানে অনেক সাড়া পেয়েছি। রাজশাহীর মেয়রের সহযোগিতা ছিল। যশোর থেকেও শুরু করেছি। সেখানেও সন্তোষজনক সাড়া মিলছে।

বাংলানিউজ: তেলের দাম বাড়ানো এবং ভাড়া নিয়ে কিছু বলুন।
মফিজুর রহমান: আমাদের প্রধান প্রতিবন্ধক বাংলাদেশ বিমান। বিমান যদিও একটা কোম্পানি, সেখানে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকার কথা, কিন্তু সেটা নেই। রাষ্ট্রীয় কোম্পানি হিসেবে বিমান অনেক সুবিধা পায়। বিমান পাবলিকের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে কম ভাড়ায় চালায়। এটা সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে অনৈতিক। আমরা যদি ভাড়া বাড়িয়ে দিই, তাহলে যাত্রীরা যাবেন বিমানে। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু সমাধান হয় না।

বাংলানিউজ: থার্ড টার্মিনালে কীভাবে উপকৃত হওয়া যাবে?
মফিজুর রহমান: বাস্তবিক অর্থে যাত্রীরাই এতে উপকৃত হবেন। একটা উন্নতমানের সেবা আমরা আশা করি। সেখানে সেবার ব্যবস্থাটাও করতে হবে। কিন্তু এখানে অপারেশনাল ফ্যাসিলিটি যদি দেখি, ঢাকায় মাত্র একটি রানওয়ে। যেকোনো দুর্ঘটনায় যদি ৪-৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, এজন্য বর্তমান রানওয়ের সঙ্গে প্যারালাল একটি রানওয়ে প্রয়োজন। এখনও দেখা যায় ২৫-৩০ মিনিট ডিলে হয়, যথা সময়ে টেক অফ করতে পারে না। অযথা তেল পোড়ে। আবার ফেরার সময়ও দেখা যায় আকাশে ধরে রাখতে হয় ২০ মিনিট। এতে অপারেশনাল খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং তেল পুড়ে গিয়ে পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য প্যারালাল রানওয়ে দরকার। এখানে উল্লেখ্য যে থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে এটি করার কথা, কিন্তু বাজেটে কাটছাঁট করা হয়েছে।

বাংলানিউজ: এয়ারপোর্টের বাইরে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে কী করা যেতে পারে?
মফিজুর রহমান: বিশ্বের অনেক উন্নত শহরে দেখা যায়, শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে যাতে খুব দ্রুত যেতে পারে অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে, সে ধরনের একটা সিস্টেম থাকে। সেটা এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু আমাদের দেখা যায়, আপনি ৩০ মিনিটের ফ্লাই করে এলেন আর এয়ারপোর্ট থেকে বনানী বা গুলশান আসতেই এক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। অন্য জায়গায় তো আরও বেশি। এখন আশা করি, যেসব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ফ্লাইওভার হচ্ছে, এর কিছুটা উন্নত হবে। কিন্তু তারপরও এয়ারপোর্টে যেন মানুষ তাড়াতাড়ি যেতে পারে সে ধরনের একটা ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলানিউজ: নভোএয়ারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই।
মফিজুর রহমান: অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, এয়ারলাইন্সগুলো আসে, কিছু দিন পরিচালনা হয়, তারপরে বন্ধ হয়ে যায়। সাসটেইন করতে পারে না। আমাদের লক্ষ্য একটি সাসটেইনেবল এয়ারলাইন্স, যাতে মানুষ ভরসা রাখতে পারে। আর আমাদের কর্মীদের যেন অসুবিধা না হয়। সেজন্য সাসটেইনেবিলিটি বড় টার্গেট। দ্বিতীয়ত হলো, গ্রোথ। ১০ বছর পরে সেই গ্রোথ ফেইজে নিয়ে যেতে চাই।

এয়ারলাইন্স সার্ভিস স্ট্যান্ডার্ডের কোনো সিলিং নেই। আমরা যে পর্যায়ে এসেছি, আরও বাড়াতে সচেষ্ট থাকব।

এয়ারলাইন্সে টেকনোলজির যে প্রচলন, তাতে একটা লিডারশিপে আছি। সবসময় আমরা নতুন টেকনোলজিকে আমাদের দেশে প্রচলন করেছি, যেটা অন্যান্য এয়ারলাইন্স ফলো করেছে। আমরা টেকনোলজি নির্ভর এয়ারলাইন্স গড়ে তুলব, যেখানে যাত্রীরা মোস্ট বেনিফিটেড হবেন। যত টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থাকবে, যাত্রীদের চয়েজ ভালো থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি যাতে একটা টেকনোলজি নির্ভর, নিরাপদ ও সেবাধর্মী এয়ারলাইন্স গঠন করতে পারি।

বাংলানিউজ: দশ বছরের সাফল্য ও এর পেছনের গল্প বলার জন্য ধন্যবাদ।
মফিজুর রহমান:  বাংলনিউজকেও ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।