ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফিফথ ফ্রিডম প্রস্তাবে বেবিচকের ‘না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফিফথ ফ্রিডম প্রস্তাবে বেবিচকের ‘না’

ঢাকা: বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আলোচনায় ফিফথ ফ্রিডম সুবিধার বিষয়ে রাজি হয়নি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চারটি এয়ারলাইন্স প্রস্তাব তুলেছিল। তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনাকে এভিয়েশন খাতের পরিভাষায় ‘ফিফথ ফ্রিডম’ বলা হয়। আর, এই প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছে বেবিচক।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বেবিচকের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বিমান চলাচল বিষয়ে দুইদিনব্যাপী আলোচনা শেষ হয়।

উভয়পক্ষের আলোচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের এয়ারলাইন্সসমূহ বাংলাদেশে তাদের বিমান চলাচল বাড়ানোর প্রস্তাব করে এবং বিভিন্ন রুটে ফিফথ ফ্রিডম অধিকার চায়।

বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না বলে বর্তমানে যে হারে ফ্লাইট চলমান আছে, তা সেই পর্যায়ের মধ্যেই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আলোচনায়। ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো সাপেক্ষে বর্ধিত কলেবরে ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হবে।

তবে ফিফথ ফ্রিডম অধিকারটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না মর্মে বেবিচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই আলোচনায় এমিরেটস স্টেটসমূহের মধ্যে ফুজাইরাহ স্টেটের বিমানবন্দরের সক্ষমতা অর্জন সাপেক্ষে ফ্লাইট বরাদ্দের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। আরও উল্লেখ্য, আলোচনাটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ও সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডেলিগেশন প্রধান জনাব সাইফ মোহাম্মদ আল সুওয়াইদি বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ করে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় কারিগরি ও পরামর্শক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এই দুদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
 
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির পাশাপাশি দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সে দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিসহ মোট ২২ জন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পক্ষে চেয়ারম্যান বেবিচকের সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এমকে/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।