ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪
ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া

কুয়ালালামপুর: বেশ কয়েকদিন ধরেই মালয়েশিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক লক্ষ্য কর‍া যাচ্ছে। হবে না কেন, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর প্রতিদিন পাঁচটি ফ্লাইট।

বিমান বাংলাদেশ’র পাশাপাশি রয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, মালিন্দো, রিজেন্ট এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স’র নিয়মিত ফ্লাইট।
আর ২০১৪ সালকে পর্যটন বছর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ-৩৭০ নিখোঁজের পর অবশ্য সরকার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু, পর্যটনের জন্য এখনও মালয়েশিয়া মানুষের কাছে অন্যতম।
মালয়েশিয়ায় কোথায় কোথায় ঘুরবেন?

কুয়ালালামপুর

মনে রাখবেন মালয়েশিয়ায় বেড়াতে আসলে আপনাকে হাতে ৪-৫ দিন সময় নিয়ে আসতে হবে। নাহলে গুরুতপূর্ণ সুন্দর স্থানগুলো দেখতে ব্যর্থ হবেন।

কুয়ালালামপুরে থাকার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থান হল কে-এল সেন্ট্রাল, বুকিত বিন্তাং অথবা মসজিদ জামেক এলাকা। এসব এলাকার সুবিধা হল, এখান থেকে মালয়েশিয়ার যেকোনো স্থানে যাতায়ত করা সহজ। হোটেল ভাড়া পরবে প্রতি রাত ১২০-১৫০ রিঙ্গিত। (১ রিঙ্গিত = ২৬ টাকা)।

এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন কুয়ালালামপুর টুইন টাওয়ার। এর চূড়ায় উঠতে অবশ্য গুণতে হবে ৬০ রিঙ্গিতের টিকিট। টুইন টাওয়ারের দিনের এবং রাতের দৃশ্য ভিন্ন। ব্যস্ত নগরীর রাতের আলো ঝলমলে টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে বেশি।

কুয়ালালামপুরের অন্যান দর্শনীয় স্থানগুলো হল- বাতু কেভ, থিএন হউ মন্দির, জাতীয় মসজিদ, স্বাধীনতা চত্বর, কে এল, বার্ডস পার্ক, একোয়ারিয়া (সমুদ্র রাজ্য), চায়না টাউন এবং বিন্তাং ওয়াক।

আরও একটি দর্শনীয় স্থান হল গেন্তিং হাইল্যান্ড। কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে, সমতল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার সাতশ’ ১০ ফুট ওপরে এ স্বপ্নরাজ্য।
এখানে গেন্তিং কেবল কার (প্রায় ৩.৩৮ কিলোমিটার) এক লোমহর্ষক অনুভূতি দেবে আপনাকে। গেন্তিং এ রয়েছে ইনডোর এবং আউটডোর দু’টো পার্ক।

আউটডোর পার্ক হল থিম পার্ক। ইনডোর পার্ক এ রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা। গেন্তিং হাইল্যান্ডে যেতে হলে টিকেট কেটে যেতে হবে। মূল্য ৬০ রিঙ্গিত।

পুত্রজায়া


কুয়ালালামপুর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক শহর পুত্রজায়া। অসম্ভব সুন্দর এবং সাজানো শহর। স্থাপত্যশিল্প গুলো থেকে চোখ সরানো অনেক কঠিন। পুত্রজায়া লেকের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এছাড়া পুত্রজায়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো হল- পুত্রজায়া আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার (পিআইসিসি), পুত্রা মসজিদ, লৌহ মসজিদ (স্টিল মস্ক), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও  পুত্রজায়া ব্রিজ।

পুত্রজায়া, কুয়ালালামপুর থেকে ১ ঘণ্টার পথ। আপনি ট্যাক্সি অথবা রেলে চেপে ঘুরে আসতে পারেন। খরচ হবে ১০০-১৫০ রিঙ্গিত।
আরও কিছু দর্শনীয় স্থান হল- পেনাং, লংকাউই, মেলাকা, ক্যামেরন হাইল্যান্ড।

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে। আর মাস শেষে ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’র সেরা লেখকের জন্য তো থাকছেই বিশেষ আকর্ষণ..

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।  

প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।