ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ফুটবলের তীর্থভূমির মনমাতানো সৌন্দর্য-২

আফসানা রীপা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪
ফুটবলের তীর্থভূমির মনমাতানো সৌন্দর্য-২ ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় ব্রাজিলকে। ব্রাজিল এবার ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ।

ফুটবল উত্তেজনা, সঙ্গে সাম্বা- ব্রাজিলের বড় আকর্ষণ।   তবে এখানেই শেষ নয়, প্রকৃতির দিক দিয়েও ব্রাজিল অপরূপ এক দেশ। অনন্য সব রূপের সন্নিবেশে ব্রাজিল পর্যকদের কাছে সবসময় এক আকর্ষণীয় জায়গার নাম। যারা বিশ্বকাপ আসরের অংশীদার হতে এই মুহূর্তে ব্রালিলে অবস্থান করছেন তারাও ফাঁক পেলে ঘুরে আসতে পারেন এ জায়গাগুলোতে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর পাঠকদের জন্য ব্রাজিলের বেশ কয়টি আকর্ষণীয় স্থান নিয়ে আমাদের এ আয়োজন। আজ থাকছে টাঙ্গুয়া পার্ক, জেলাপো স্টেট পার্ক, অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট, গ্রুটা ডো লাগো অ্যাজুল ও ফার্নেন্দো ডি নরোনহা।

টাঙ্গুয়া পার্ক



টাঙ্গুয়া পার্কটি এখন যেখানে অবস্থিত সেই স্থানটি আগে ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হতো। এখন এই স্থানটিকে পরিশোধিত করে ভ্রমণকারীদের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। স্থানটিতে এখন সাইক্লিং এবং জগিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর ভ্রমণকারীদের কাছেও জনপ্রিয় স্থানটি।

জেলাপো স্টেট পার্ক



সমতল সমভূমি ও সোনালি বালিয়ারী, পাহাড়, নদী এবং ঝর্নাসহ এই পার্কটি অ্যাডভেঞ্চার পিপাসুদের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এখানকার নভো নদীতে নৌকা চালিয়ে যাওয়ার পর পরই ইমাল্ড ফরমিগা জলপ্রপাতে সাতার কেটে নিজেকে দিতে পারেন অনেকটা আনন্দময় মুহূর্ত।

অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট



বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং বৈচিত্র্যময় এক জায়গার নাম অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট। পুরো ব্রাজিলের অর্ধেক, অর্থাৎ প্রায় ৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই অঞ্চল। যদি ভাগ্য যথেষ্ট ভাল থাকে, তাহলে দেখা মিলতে পারে দুর্লভ গোলাপি তিমি, জাগুয়ার এবং ভোদড়ের। তবে এখানকার বিষাক্ত মশা থেকে সাবধান।

গ্রুটা ডো লাগো অ্যাজুল



পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নীল পানি প্লাবিত গুহা এটি। এই নীল পানির গভীরতা ২০০ ফুটেরও বেশি। অনেকেই মনে করেন এই গুহার পানির লেকটির উৎস ভূ-গর্ভস্থ নদী থেকে। অবশ্য এমন ধারণা করলেও আজ পর্যন্ত তা শনাক্ত হয়নি। গুহাটি প্রাগৈতিহাসিক কোষাগারে সমৃদ্ধ। নীল পানির সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা, যা সকলেরই মন কাড়বে বলেই বিশ্বাস।

ফার্নেন্দো ডি নরোনহা



ব্রাজিলের পার্নাম্বুকোর উপকূল এলাকা থেকে ৩৫৪ কিলোমিটার সমুদ্রগভীরে এই দ্বীপটির অবস্থান। সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং স্পিনার শুশুকের আশ্রয়স্থল এটি। দ্বীপটিকে সুন্দর এবং দূষনমুক্ত রাখতেই এখানে প্রতিদিন ৪৬০ জনের বেশি ভ্রমণকারীর বেশি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না।

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।

প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন  [email protected] এই ঠিকানায়।

** ফুটবলের তীর্থভূমির মনমাতানো সৌন্দর্য-১

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।