ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

পর্যটন দিবসে বিমানবন্দরে ফুল পাবেন বিদেশিরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪
পর্যটন দিবসে বিমানবন্দরে ফুল পাবেন বিদেশিরা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে বিদেশি পর্যটকদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে।

বিশ্ব পর্যটন দিবসটিকে ঘিরে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় পর্যটন সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই দেশের প্রধান প্রবেশদ্বার শাহজালাল বিমানবন্দরে বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানানোর এ অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে বিটিবি।     

সোমবার বিটিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ জামান খান কবির। সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিমও বক্তব্য রাখেন।

‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পর্যটন’ - স্লোগান নিয়ে এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হতে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আকতারুজ জামান খান কবির বলেন, পাহাড়পুর ঘিরে ব্যাপক একটি পরিকল্পনা নিয়েছে ট্যুরিজম বোর্ড। এছাড়াও পর্যটন বর্ষ পালনের জন্য রোডম্যাপ প্রণয়নের কাজ চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১২ সালে দেশে প্রায় ৬ লাখ বিদেশি এসেছেন। তবে ২০১৩ সালের কোনো হিসাব আমাদের কাছে নেই।
   
আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটন না বাড়লে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অভ্যন্তরীণ পর্যটন বাড়ার দিকে নজর দিতে চাই। একই সঙ্গে জাপান, ভারত ও চীন থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দেশের পাশাপাশি রাশিয়া ও ব্রাজিল থেকে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক পর্যটক আনতে নজর দিতে চাই।   

ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেন, পর্যটন শিল্প তার তার বহুমাত্রিকতা ও ব্যাপ্তির কারণে বিশ্বে একক বৃহত্তম শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। স্থানীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে পর্যটন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

এবারের প্রতিপাদ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই লক্ষ্য অর্জনে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগসহ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।   

দিবসটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৠালি, সেমিনার, টকশো’, সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পর্যটন বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোতে খাদ্য ও আবাসনের ওপর বিশেষ ছাড়, সড়কদ্বীপে সজ্জা, আলোকসজ্জা, খাদ্য উৎসব, ব্যানার ফেস্টুন, বেলুন ওড়ানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।