ঢাকা: রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের দু’টি কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণার পর কাউন্টারগুলো বন্ধ করে দেয় কর্মকর্তারা।
পাশাপাশি ইউনাইটেডের কাউন্টারে দেওয়া তিনটি নম্বর-ই বন্ধ রয়েছে। এদিকে কাউন্টার বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রী হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের দু’টি কাউন্টারে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। অভ্যন্তরীণ কাউন্টারে শুধু একটি সাদা কাগজে লিখা আছে, ‘ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হল’। এটি ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। একই কাগজে লিখা রয়েছে, ‘যদি কেউ কাউন্টারে আসেন তবে নিচের নম্বরে যোগাযোগ করবেন’।
কিন্তু কার্যত তা বন্ধ রয়েছে। একাধিকবার সেই তিনটি নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ওমানের রাজধানী মাস্কটগামী যাত্রী ফরিদ আকন্দের বুধবার রাতে ফ্লাইট ছিল। তিনি ফ্লাইট পাওয়ার আশায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে অসহায় হয়ে তিনি নিজ বাড়ি কুমিল্লায় ফিরে যান।

United_1
ফরিদ আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, তিনি যেতে পারবেন কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
দোহাগামী যাত্রী ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাতে তার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু তিনি যেতে পারেননি। কিভাবে তিনি যাবেন তাও জানেন না।
ব্যয়ভার সংকুলান না হওয়া ও অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সকল রুটের ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এর পরপরই কাউন্টার বন্ধ করে দিয়ে উধাও হয়ে যান কাউন্টারের কর্মীরা। এ ঘোষণার পর রাতে ২ শতাধিক যাত্রী বেকায়দায় পড়েন। তারা রাতে বিমানবন্দরে বিক্ষোভও করেন। পরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে কোনো সমস্যা হয়নি। কাউন্টার বন্ধই রয়েছে। আমরা এখনো ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। কাউন্টারে দেওয়া সবগুলো নম্বর-ই বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪