ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

অর্ধেক ভাড়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
অর্ধেক ভাড়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান

ঢাকা: বেসরকারি এয়ারলাইন্সের অর্ধেক ভাড়ায় দেশের সাতটি রুটে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

প্রায় আড়াই বছর পর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে চালু হতে যাচ্ছে, বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট।

ওইদিন এক সঙ্গে পাঁচটি অভ্যন্তরীণ রুটে পেখম মেলবে বিমান।

এ জন্য বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট ফের চালুর ঘোষণা দেয় বিমান।       

বিমানের সেলস অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ভাড়া হবে মাত্র চার হাজার টাকা। ঢাকা-কক্সবাজার পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ঢাকা-সিলেট তিন হাজার দুইশ টাকা, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-যশোর রুটের ভাড়া তিন হাজার পাঁচশ টাকা, ঢাকা-বরিশাল তিন হাজার টাকা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দুই হাজার দুইশ টাকা। সব ভাড়াই ওয়ানওয়ে এবং ট্যাক্সসহ এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।  

বিমান চলাচল খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে বিমান যে ভাড়া ঘোষণা করেছে, তা দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা সবগুলো বেসরকারি এয়ারলাইন্সের প্রায় অর্ধেক ভাড়া।  

বিমানের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব রুটগুলোতে বিমানের ভাড়া আরো কম ছিল। কিন্তু বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর চাপে পরবর্তীতে বিমান কর্তৃপক্ষ ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি করে।

তাছাড়া বিমান ভাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু একই চাপে এ ক্ষেত্রে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।   

বিমানের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাইল হেউড বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা সহজেই দেশের বিভিন্ন রুটের সঙ্গে আকাশপথেই সংযুক্ত হতে পারবেন। এতে বিমানের ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।   

সপ্তাহে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ছয়টি ফ্লাইট, ঢাকা-যশোরে পাঁচটি, ঢাকা-রাজশাহীতে তিনটি, ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-বরিশালে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স।

এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে সপ্তাহে ২৫টি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে কানেক্টিং ফ্লাইট যথারীতি চালু থাকবে। প্রয়োজন হলে এসব কানেক্টিং ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে ৭৪ আসনের ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ দিয়ে। এরই মধ্যে উড়োজাহাজ দুটি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের শেষের দিকে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স এরই মধ্যে মিশর থেকে দুটি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ নেক্সট জেনারেশন উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে।

২০১২ সালে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য উপযোগী এফ-২৮ উড়োজাহাজ উড্ডয়ন অনুপযোগী ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বিমানের অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কানেক্টিং ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমানের কিছু যাত্রী সিলেট ও চট্টগ্রাম যেতে পারেন। তবে এটি আদৌ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নয়।  

বিমান সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজ দুটি ১৫০০ ঘণ্টা উড্ডয়ন করেছে। ২০১১ সালে প্রস্তত টার্বো প্রপ উড়োজাহাজে আসন সংখ্যা ৭৬। ইজিপ্ট এয়ার সম্পূর্ণ নতুন এই দুটি উড়োজাহাজ কিনেছিল।

পরবর্তীতে মিশরে ‘আরব বসন্ত’-এর জের ধরে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে। এ অবস্থায় দুটি উড়োজাহাজ বসেই ছিল।       
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।