ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজে ইউএস-বাংলার নতুন ইতিহাস

আসাদ জামান ও উর্মি মাহবুব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজে ইউএস-বাংলার নতুন ইতিহাস ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার থেকে: সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪শ’ ট্রাভেল এজেন্ট ও করপোরেট অফিসের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ‘কাস্টমার সাকসেস সামিট কক্সবাজার-২০১৫’ আয়োজন করে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

দেড় বছরের সফল পথচলার সহযাত্রী ট্রাভেল এজেন্সির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মানে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ওশান প্যারাডাইস হোটেলের বল রুমে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) এক মিলনমেলার আয়োজন করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।


 
বিকেল ৪টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মিলনমেলা। শেষ হয় রাত ৮টায় দেশের জনপ্রিয় ব্রান্ডদল এলআরবি’র সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
 
পুরো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আয়োজকদের অনুপ্রাণিত করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী নওশীন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এম সানাউল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ক্রিস্টিয়ান টারডিফ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
অনুষ্ঠানে সাফল্যের সহযাত্রী সারাদেশের ৪শ’ ট্রাভেল এজেন্সির মধ্য থেকে তিনটি ট্রাভেল এজেন্সিকে ‘টপ ন্যাশন ওয়াইড সেলার অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা দেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজে নতুন এক ইতিহাস বলে উল্লেখ করেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা।

চট্টগ্রামের ট্রাভেল এজেন্সি ‘বি ফ্রেশ’ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ন্যাশনওয়াইড সেলার, যশোরের ‘টেক অব ট্রাভেলস্’ প্রথম রানারআপ অব দ্য ন্যাশনওয়াইড সেলার এবং ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশন (আইটিসি) দ্বিতীয় রানারআপ অব দ্য ন্যাশনওয়াইড সেলার সম্মাননা দিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
 
এছাড়া ডেস্টিনেশন অনুযায়ী আরও প্রায় ২৮ ট্রাভেল এজেন্সিকে সাম্মাননা স্মারক দিয়েছে ইউএ-বাংলা এয়ারলাইন্স।
 
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিজয়ী ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
 
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আজকের এই আয়োজন পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিলো। সেই সঙ্গে সাফল্যের সহযাত্রী হিসেবে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে সম্মানিত করে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ইতিহাস যোগ করলো।
 
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, যাত্রীসেবা এবং কর্তৃপক্ষের শর্তগুলো পালনের মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পে খুব দ্রুতই নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে ইউএস-বাংলা। এ কারণেই তারা বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি তাদের প্রাপ্য।
 
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এম সানাউল হক বলেন, এভিয়েশন ব্যবসায় সাফল্য অর্জনের পূর্ব শর্ত হলো- ভ্রমণকে নিরাপদ করা। গত দেড় বছরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে বড় ধরনের কোনো ত্রুটির ঘটনা ঘটেনি। এ কারণেই এ প্রতিষ্ঠানটি খুব অল্প সময়ে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
 
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকে আমরা ফ্লাইট সিডিউল ও যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সুনজর দিয়ে আসছি। আমরা ব্যবসায়ী সম্পর্কের মাধ্যমে বলতে পেরেছি, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আপনাদেরই এয়ারলাইন্স। খুব দ্রুতই আমরা আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা অভ্যন্তরীণ রুটের মতো আন্তর্জাতিক রুটেও আপনাদের সহযোগিতা পাবো।
 
** ইউএস-বাংলার সামিটে এক ধাপ এগিয়ে গেলো কক্সবাজার
** ইউএস-বাংলার সেবা নেন দেশের ৪৫ শতাংশ প্লেনযাত্রী
** শাহানশার গুহায় পরীর স্মৃতি

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এজেড/ইউএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।