চট্টগ্রাম: দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ৬০ ভাগ যাত্রী এককভাবে পরিবহন করছে ইউএস-বাংলা। অভ্যন্তরীণ রুটে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট পরিচালনাও করছে এয়ারলাইন্সটি।
শুক্রবার বিকালে নগরীর ফয়’স লেক সী ওয়ার্ল্ডে বর্ণাঢ্য ‘দি রিকগনিশন কার্নিভালে’ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এ ঘোষণা দেন।
চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রাভেল এজেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী কার্নিভালে ছিল বিজনেস কনফারেন্স, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, র্যাফেল ড্র, পুতুল নাচ ইত্যাদি।
ট্রাভেল এজেন্টদের উদ্দেশে মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় ইউএস-বাংলার এ অগ্রযাত্রা। ২০১৬ সালে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি টিকেট বিক্রির জন্য ঢাকা শহরে আমরা একটি অ্যাপার্টমেন্ট পুরস্কার দেবো। এ ছাড়া আমাদের গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ট্রাভেল এজেন্ট ও প্রতিনিধিদের পোষ্যদের জন্য গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে সব বিভাগের ভর্তিতে ২০ শতাংশ, ইউএস-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে ১০ শতাংশ, ইউএস-বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসায় ৩০ শতাংশ ও পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে প্লট বুকিংয়ে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। অভ্যন্তরীণ রুটের ৬০ শতাংশ যাত্রী এককভাবে পরিবহন করে দেশের আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছি সুদৃঢ়। এর স্বীকৃতিস্বরূপ দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে আমরা
২০১৫ সালে শ্রেষ্ঠ এয়ারলাইন্সের মর্যাদা পেয়েছি।
ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বর্তমানে ৯৮ দশমিক ৭ শতাংশ অনটাইম পারফরমেন্স নিয়ে ইউএস-বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র স্বীকৃত প্রিমিয়াম এয়ারলাইন্স।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে দামি এয়ারক্রাফট ব্যবহার করি। ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপানে এ ধরনের এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর প্রকৌশল ও গবেষণা খাতে আমরা এক কোটি টাকা খরচ করছি। যাতে আমাদের যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারি। ইতিমধ্যে আমরা ১০ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। যা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে সর্বাধিক। যাত্রা শুরুর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশকে ক্যাপটেন ও কেবিন ক্রু দিয়ে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনায় সহযোগিতা করেছে ইউএস-বাংলা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছেলেরা শুধু নয় মেয়েরাও হিমালয় জয় করেছে। অনেক উন্নত দেশে আমাদের মতো জনবল, জনশক্তি, তারুণ্য নেই। ইউএস-বাংলা
এয়ারলাইন্স সেবাকে দেশের জন্য অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আটাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর। তিনি বলেন, এয়ারলাইন্স চালাতে গেলে ট্রাভেল এজেন্টদের সহযোগিতা লাগবে। ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি মনে করেন দেশের সব ট্রাভেল এজেন্ট তার পরিবারের সদস্য। আমাদের সুখে, দুঃখে, বিপদে-আপদে তিনি পাশে থাকবেন। অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে একমাত্র ইউএস-বাংলারই নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস আছে। আমি মনে করি, ট্রাভেল এজেন্ট মালিক, কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে ইউএস বাংলা একদিন বিমানের চেয়ে বেশি সুনাম অর্জন করবে। তিনি ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটে সবচেয়ে বেশি টিকেট বিক্রির জন্যেও পুরস্কারের অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল শিল্পী মেহরাব, নদী ও নীলা নাজের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফানুস উৎসব। র্যাফেল ড্রয়ের প্রথম পুরস্কার ছিল ঢাকা-নিউইয়র্ক-ঢাকা বিমান টিকেট। দ্বিতীয় পুরস্কার ঢাকা-সুইজারল্যান্ড-ঢাকা বিমান টিকেট। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নওশীন।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে ফ্যান্টাসি কিংডমে একই ধরনের অনুষ্ঠান করেছিল ইউএস-বাংলা। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সারা দেশের ট্রাভেল এজেন্সির উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘কাস্টমার সাকসেস সামিট কক্সবাজার’র আয়োজন করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
এআর/টিসি