ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

কমানো হচ্ছে বিমান চেয়ারম্যানের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
কমানো হচ্ছে বিমান চেয়ারম্যানের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা

ঢাকা: বিমান চেয়ারম্যানের ক্ষমতা খর্ব করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি ও ক্যারিয়ার প্লানিং’র ক্ষমতা কেবল চেয়ারম্যানের।

২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স’ এর ৬৭তম বোর্ড সভায় চেয়ারম্যানকে এই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয বিমান পরিচালনা পর্ষদের আর সবার ক্ষমতা।

ওই ঘটনার প্রায় ৬ বছর পর এসে চেয়ারম্যানের ওই নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে কালাকানুন মনে করছে বর্তমান বিমান পরিচালনা পর্ষদ।

পর্ষদের এক সদস্য এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যদি কোন ক্ষমতাই না থাকে, যদি বিমান চেয়ারম্যানই সকল বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তবে আমাদের এই প্রহসনের মঞ্চে অভিনয়ের প্রয়োজন কি! বিষয়টি নিয়ে আমরা দ্রুতই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।
 
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এটা অন্যায়। এটা হতে পারে না। বিমান পরিচালনা পরিষদে এতোসব পাইওনিয়ার লোক দিয়ে তাহলে লাভ কি!
 
তিনি বলেন, বিমান পরিচালনা পর্ষদে এতো অভিজ্ঞ ও সিনিয়র লোক নিয়োগ দেওয়া হয়, যাতে সবাই মিলে বিমানটাকে একটি লাভজনক ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যায়, পরিচালনা করা যায়। কিন্তু বিমানের চেয়ারম্যানই যদি ‘হ্যাড বিন অ্যান্ড শ্যাল কন্টিনিউ…’ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে এতো কিছু করে কি হবে?
 
মন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো। বিমান চেয়ারম্যানের এই ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবো।
 
গত ২৯ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সরকার। সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান হন বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার মার্শাল (অব.) মো. ইনামুল বারী। বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন (সংশোধিত) অধ্যাদেশ-২০০৭, কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এবং অ্যাসোসিয়েশন অব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৩ সদস্যের বিমান পরিচালনা পর্ষদও গঠন করা হয়। সাবেক চিফ অব এয়ার স্টাফ এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হন ইনামুল বারী।
 
পুনর্গঠিত ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে আছেন অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমানবাহিনীর সহকারী প্রধান (অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং), সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ, সাবেক সচিব এম নজরুল ইসলাম খান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়, বিজিএমইএ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব-উল-আলম, ইমার্জিং রিসোর্সেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর-ই-খোদা আবদুল মোবিন,  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
আরএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।