ঢাকা: হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নামে আন্তর্জাতিক হলেও অনেক ক্ষেত্রেই যেন পিছিয়ে রয়েছে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরটি।
কোনো দানবাক্সের গায়ে লেখা আছে মীর্জাগঞ্জ ইয়ারউদ্দিন খলিফা, কোনোটায় করা হয়েছে ক্যান্সার রোগীর জন্য সহায়তা কামনা। বিমানবন্দরের ভেতরে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামে দান করার জন্যও রয়েছে পৃথক বাক্স। কিন্তু দেশের প্রধান বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে এ ধরনের দানবাক্স দেশের ইমেজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখের চেকপোস্ট পেরুলেই ডান পাশের পায়ে হাঁটা পথের গ্রিলে তালা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা আছে লাল দানবাক্স। লাল দানবাক্সের গায়ে লেখা রয়েছে মীর্জাগঞ্জ ইয়ার উদ্দিন খলিফা। কিন্তু আদৌ মীর্জাগঞ্জ ইয়ার উদ্দিন খলিফা নামে কেউ ছিলো কিনা তা কেউ জানে না।
এসব লাল দান বাক্সের মালিক কারা তাও কেউ জানেন না। কিন্তু শক্তিশালী একটি চক্র এর সাথে জড়িত বলে জানা যায় বিমানবন্দর সূত্রে।
বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসূফ বিমানবন্দরের মূল ভবনের ৫২টি লাল দানবাক্স এপিবিএন এর সহায়তায় খুলে ফেলেন। কিন্তু তারপরও কিছু দিনের মধ্যেই বিমানবন্দর চত্বরের ভেতরেই পুনরায় এসব লাল বাক্স লাগানো শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরেও নানা দানবাক্স রয়েছে বলে জানা যায় বিমানবন্দর সূত্রে।
তবে এসব বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। একাধিকবার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৬
ইউএম/আরআই