ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

আকাশপথে ভ্রমণ মানেই ইউএস-বাংলা

এভিয়াট্যুর ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৬
আকাশপথে ভ্রমণ মানেই ইউএস-বাংলা ছবি- ফাইল ছবি/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা। যাত্রা শুরুর পর থেকে নিয়মিতভাবে এর অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইউএস-বাংলাসহ চারটি সরকারি- বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্য যাত্রীদের প্রথম পছন্দ ২০১৫ সালে ডমেস্টিক সেক্টরে ‘বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। নিরাপদ ভ্রমণ, সঠিক গন্তব্য, নিয়মানুবর্তীতা, আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা, ইন-ফ্লাইটে উন্নতমানের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, সর্বোপরি যাত্রী সাধারণের জন্য নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বাংলাদেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থার মধ্যে ইউএস-বাংলা’য় দেশীয় এয়ারক্রাফট মেইনট্যানেন্স ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি আটজন দক্ষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশি এয়ারক্রাফট মেইনট্যানেন্স ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। যারা সার্বক্ষণিক এয়ারক্রাফটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত থাকেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে চৌদ্দ হাজারের বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। যেখানে দুর্ঘটনার রেকর্ড শূন্যের কোটায়।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনায় অন-টাইম রেকর্ড ৯৮.৭ শতাংশ। যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে একটি মাইল ফলক। দক্ষ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাউন্ডস স্টাফ থাকার কারণে যা সম্ভব হয়েছে।

এছাড়া দক্ষ ব্যবস্থাপনা, যা প্রতিনিয়ত সুচারুরূপে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এভিয়েশন এক্সপার্ট আর একঝাঁক কর্মঠ তরুণের সম্মিলিত টিম ওয়ার্ক, যা যাত্রী সাধারণের মধ্যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে অভ্যন্তরীণ সেক্টরে ২০১৫ সালে প্রায় ৯ লাখ ১২ হাজার ৬৪৪ জন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি।

এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের জন্য রয়েছে আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা, পরিপূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এয়ারলাইন্সের ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট যাত্রীদের আরো বেশি নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এর নির্দেশনা অনুযায়ী সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি) এর সরাসরি তত্বাবধানে সব ধরনের কমপ্ল্যায়েন্স পরিপূর্ণ করে ইউএস-বাংলা’র নিজস্ব ক্যাটারিং ইন-ফ্লাইটে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রদান করে থাকে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে ৮০০ জনের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ জন ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দিয়ে ১৫ জনের বেশি ক্যাডেট পাইলটকে সরাসরি কমার্শিয়াল পাইলট হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরির সুবিধা দিয়েছে। এছাড়া এভিয়েশন সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাউন্ডস্টাফ, কেবিন ক্রু তৈরিতে উন্নত মানের ট্রেনিং প্রদান করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। শিগগিরই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে চলেছে। যার মাধ্যমে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা, মাস্কাট, গুয়াংজুসহ আরো বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।