ঢাকা: প্রথমবারের মতো সব হজযাত্রী বহনে ব্যর্থ হয়েছে বিমান। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই এয়ারলাইন্সটির সর্বশেষ হজ্ব ফ্লাইট গত সোমবার ঢাকা ছেড়েছে।
এর মানে হলো, নিজের ১৩ শতাধিক যাত্রী সৌদিয়ার ওপর ছেড়ে দিয়েছে বিমান। এতে অন্তত ১৪ কোটি টাকার ব্যবসা কম হয়েছে বিমানের। কিন্তু কেন? এর জন্য কে দায়ী?
বিমানের ভেতরের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে- বিমানের মতিঝিল অফিসের ডিজিএম সৈয়দ আহসান কাজীর সীমাহীন গাফিলতি, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও টিকিট বাণিজ্যের কারণে বিমানকে এবার ১৩ শতাধিক যাত্রী হারাতে হয়েছে।
নিজস্ব কোটার এতো যাত্রী ছেড়ে দেয়ার নেপথ্যেও ঘটেছে বড় ধরনের কমিশন বাণিজ্য। সন্দেহের তীর কাজীর ওপর থাকলেও বিমান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে পুরস্কৃত করার সিদ্বান্ত নিয়েছে। তাকে প্রমোশন দেয়া হচ্ছে জিএম পদে। এ নিয়ে বিমানে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। কারণ একদিকে টিকিট বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, অন্যদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি নিয়ে অতিরিক্ত আরও এক বছর চাকরি করার মতো অপকর্মের অভিযোগ থাকার পরও তাকেই প্রদোন্নতি দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিমানের একজন মহাব্যবস্থাপক জানান- চু্ক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের সব হজযাত্রী সমান হারে বিমান ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এর বহন করার শর্ত থাকলেও এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। বিমানের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও মতিঝিল সেলস অফিসে কাজীর মতো দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাকে দায়্ত্বি দেয়ায় এবার হজে এই সর্বনাশ ঘটেছে।
কিন্তু বিমানের শীর্ষ কর্তাদের তারপরও টনক নড়েনি। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদেরও কারোর নজরে আসছে না এত বড় সর্বনাশের ঘটনা। রবং কাজীকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য বিমানের দুজন পর্ষদ সদস্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। আর পর্ষদ চেয়ারম্যান তাদের কথাতেই সায় দেবেন বলেও দাবি করে যাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
জেডএম/