ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারের সব প্লেন সরানোর নির্দেশ

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারের সব প্লেন সরানোর নির্দেশ

ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সবগুলো উড়োজাহাজ বিমানবন্দর থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিকে এ নির্দেশ দিয়েছে।

 

বেবিচক সূত্র জানায়, সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি তাদের ফ্লাইটে বেশ কয়েকটি নতুন উড়োজাহাজ যোগ করেছে। এ কারণে বিমানবন্দরে জায়গা হচ্ছে না। অন্যদিকে, এসব জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত রয়েছে ইউনাইটেডের উড়োজাহাজগুলো।
 
একদিকে কোম্পানিটি তাদের বকেয়া পরিশোধ করছে না, অন্যদিকে, নষ্ট উড়োজাহাজের কারণে বিমানবন্দরের সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে তাদের সবগুলো উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
ইউনাইটেড সূত্র জানায়, ইউ‌নাইটেড এয়ারওয়েজের ১১টি উড়োজাহাজ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে ২টি ভাড়া করা এবং বাকি ৯টি উড়োজাহাজ নিজস্ব। সেগুলোর মধ্যে ৫টিই নষ্ট।  বাকি ৫টির মধ্যে চারটিকে সিচেক করা হলে বহরে যুক্ত করা যাবে। আরেকটি ভারতের বিমানবন্দরে রয়েছে।
 
জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও লোপাটের ফলে অর্থ সংকটে চলতি বছরের প্রথম থেকে প্রতিষ্ঠানটির দেশ-বিদেশের সবগুলো ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কোম্পানির কাছে ল্যান্ডিং,পার্কিং ও নেভিগেশন চার্জসহ অন্যান্য পাওনা রয়েছে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা। এ পাওনা টাকা আদায় করতে কোম্পানিকে ছয় থেকে সাত দফা চিঠি দিয়েছে বেবিচক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করেনি।
 
এ অবস্থায়ও নতুন করে বিদেশ থেকে ৪শ’ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ারের বিনিময়ে আরও সাতটি উড়োজাহাজ আনছে ইউনাইটেড এয়ার। এ কাজের একক নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে এমডির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ইউনাইটেডের উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে টারমাক খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
 
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটি একটি বন্ধ এয়ারলাইন্স। তাদের নষ্ট ও অচল এয়ারক্রাফট বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও টারমাক দখল করছে। নতুন নতুন এয়ারক্রাফট দেশি এয়ারলাইন্সগুলোতে যোগ হওয়ায় স্থানের সংকুলান হচ্ছে না। তাই তাদের উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে নিতে সরকার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের পাওনা উদ্ধারের কোনো সর্ম্পক নেই।

টাকা উদ্ধার সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগেই ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওনা উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে বেবিচক। কিন্তু একটি বন্ধ এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে কীভাবে টাকা উদ্ধার হবে তা নিয়ে কৌশল নির্ধারণ ও সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রয়োজন’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এমএফআই/এসএনএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।