ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

রিজেন্টে উড়ে হিমালয়কন্যায়

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৭
রিজেন্টে উড়ে হিমালয়কন্যায় হিমালয়ের পাদদেশে আকাশছোঁয়া সব পর্বতের আড়াল দিয়ে নেমে যায় রিজেন্টের আরএক্স ৭৯৫ ফ্লাইট

কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে: তখনো ৩৯ হাজার ফুট ওপরে প্লেন। ক্যাপ্টেন ঘোষণা করলেন, “আপনাদের ডান পাশের জানালা দিয়ে তাকালে চোখে পড়বে ‘হিমালয়’।” যাত্রীদের যারা বাম পাশের সিটগুলোতে বসেছিলেন, তারাও উঠে ডান পাশের জান‍ালায় মুখ দিলেন। নিচে শুভ্র হিমালয়ের চারটি চূড়া চোখে পড়ে।

কিছুক্ষণ পরই আবারো ক্যাপ্টেনের ঘোষণা, “আমরা এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যাচ্ছি। নিচে আবারও দেখা যাবে হিমালয়।

এরপর ল্যান্ডিংয়ের সময় ক্যাপ্টেন সিটবেল্ট বাঁধার অনুরোধ করেন। যাত্রীরা আবারও সবাই নিজ নিজ সিটে। ক্রুরা এসে বেল্ট চেক করে যান।

হিমালয়ের পাদদেশে আকাশছোঁয়া সব পর্বতের আড়াল দিয়ে নেমে যায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজের আরএক্স ৭৯৫ ফ্লাইট। জানালা দিয়ে অপলক তাকিয়ে থাকতে হয়। নীল শুভ্র মেঘের আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। শনিবার দিনজুড়েই বৃষ্টি হচ্ছে কাঠমান্ডুতে। খুব সাবলীলভাবেই ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে ল্যান্ডিং করে এয়ারক্রাফট।

রিজেন্ট এয়াওয়েজে কাঠমান্ডু ভ্রমণটা হবে এমনই রোমাঞ্চকর। শুধু প্লেনে কাঠমান্ডু যাওয়া নয়, এই যাত্রায় আকাশ এবং হিমালয়ের সৌন্দর্য করবে অভিভূত।

এর আগে, সিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় ঠিক ৩টা বাজেই উড্ডয়ন করে আরএক্স ৭৯৫। সেসময় ক্রুরা নিরাপত্তা নির্দেশাবলী সম্পর্কে ধারণা দেন। যাত্রীদের সিট বেল্ট দেখে নেন। যাদের পরতে অসুবিধা হচ্ছিল তাদের সাহায্য করেন আন্তরিকতার সঙ্গেই।
হিমালয়ের পাদদেশে আকাশছোঁয়া সব পর্বতের আড়াল দিয়ে নেমে যায় রিজেন্টের আরএক্স ৭৯৫ ফ্লাইট
কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে ওড়ে রিজেন্ট। ক্যাপ্টেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,আকাশে মেঘ থাকায় কিছুটা ঝাঁকুনির আলামত দেন। তবে তেমনটা আর অনুভব হয়নি আকাশে। খুব দ্রুতই নোজ আপ রেখে মেঘকে অনেক নিচে বসিয়ে আরও ওপরে ছুটতে থাকে প্লেন।

প্লেন সোজা অবস্থায় চলতে থাকলে সিট বেল্ট খোলার অনুমতি আসে। এসময় যাত্রীদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় নেপালে প্রবেশের ইমিগ্রেশন কার্ড। যাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল বা প্রশ্ন ছিল, তাদের সহযোগিতা করেন ক্রুরা। একইসঙ্গে চলে খাবার পরিবেশন পর্ব। ২০ মিনিটের মধ্যেই সবকিছু গুছিয়ে নেন ক্রুরা।

এ ধরনের নির্মল যাত্রাই কাঠমান্ডু রুটে উপহার দিচ্ছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।

গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে যাত্রা করে রিজেন্ট। বোয়িং ৭৩৭-৭০০ এই প্রাইভেট ক্যারিয়ারে রয়েছে ১২টি বিজনেস ক্লাস সিট ও ১১৪টি ইকোনমি ক্লাস সিট।

ঢাকা থেকে শনি, সোম এবং বুধবার বিকেল ৩য় যাত্রা করে রিজেন্ট। কাঠমান্ডু সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ল্যান্ড করে ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে। আবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ফিরতি ফ্লাইট ঢাকা পৌঁছায়।

ট্যাক্স ও যাবতীয় খরচসহ ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ওয়ানওয়ে জার্নির টিকেট খরচ পড়বে ১২ হাজার ৪৯৩ টাকা। আর ফিরতি ফ্লাইটের টিকেট মূল্য ১৭ হাজার ৫১২ টাকা।

এই রুটে শুধু ভ্রমণপিপাসুরা নন, বরং ঢাকাকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে কাঠমান্ডু থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আসা-যাওয়া শুরু করেছেন নেপালের বাসিন্দারা। অবশ্য রিজেন্টেই কাঠমান্ডু থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর ভ্রমণ করা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এমএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।