ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

শৌর্যের প্রতীক বুর্জ দোহা

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
শৌর্যের প্রতীক বুর্জ দোহা কাতারের রাজধানীতে বুর্জ দোহা টাওয়ার

দোহা, কাতার থেকে: আরব সাগরের তীরে দোহার ওয়েস্ট বে'তে অবস্থিত দোহা টাওয়ার। প্রাচীন অশ্বারোহী যোদ্ধাদের মাথায় ব্যবহৃত বর্মের আদলে তৈরি এ টাওয়ার যেন শৌর্যের প্রতীক। যার আরেক নাম বুর্জ দোহা।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় এ অত্যাধুনিক স্থাপনা হয়ে উঠেছে কাতারের প্রতীক। ১২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের নকশাকারক ফরাসি স্থাপতি জীন নওভেল।

২০১২ সালে নির্মাণ শেষ হওয়া এ ৪৬ তলা টাওয়ারের উচ্চতা ৭৬১ ফুট।

দাপ্তরিক এ ভবনে মানুষ চাইলেই ঢুকতে পারবে না। তাই পর্যটকরা বাইরে সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নেন। স্বর্ণ রংয়ের টাওয়ারটি উজ্বল করে তোলে চিত্রপট। ২০০৪ সালে 'সুউচ্চ ভবন' নামে একটি প্রজেক্টের অধীনে এ ভবনের কাজ শুরু হয়। তবে ২০১২ সালে নির্মাণ শেষ হলে ভবনটি পরিচিত পায় বুর্জ দোহা নামেই। স্থাপনাটির মালিক শেখ সাউদ বিন মুহাম্মদ আল থানি এবং সাউদ গ্রুপ বর্তমানে ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।

ওয়েস্ট বে'র বাণিজ্যিক এলাকাতে টর্নেডো টাওয়ার, কমার্শিয়াল ব্যাংক প্লাজা, হিল্টন দোহা'র মতো দারুণ সব স্থাপত্যের মাঝেও কমান্ডোর মতোই নিজেকে তুলে ধরে আছে বুর্জ দোহা।  

৪৬ তলা ভবনটির ৩ তলা রয়েছে মাটির নিচে এবং সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ মিটার আয়তনের এ টাওয়ার। প্রাচীন ইসলামিক ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক সংস্কৃতির মিশ্রণ করা হয়েছে এ ভবনের নকশায়। যাকে বলা হয় মাশরাবিয়া। পুরো টাওয়ারের গায়ে রয়েছে অসংখ্য তারকার নকশা।

কাতারের বাণিজ্যিক এলাকা ওয়েস্ট বে'র এই ভবনটি ভেতরে গরম তাপ প্রবেশ করতে দেয় না। বরং মরুভূমির গরম হাওয়া ভবনটির গাঁ স্পর্শ করলে শীতল হয়ে ওঠে বলেই স্থানীয়রা মনে করেন।

*আরব সাগরে আগুন গোলা সূর্যোদয় 

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এমএন/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।