রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।
এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি নথি মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনের আগে বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুমেই বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, বেবিচকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ সফরকালে গত ৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন কার্গো প্লেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন। তার ওই কথার ৯ দিনের মাথায় যুক্তরাজ্য সরকার তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো।
পণ্য পরিবহন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আয়ের অন্যতম একটি উৎস। যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে বিমানের আয় হয়েছে ২৪৪ কোটি টাকা। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এ আয় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আকাশপথে যুুক্তরাজ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০১৭ সালের শেষের দিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত দেয় যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি)। শর্তের মধ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদে দু’জন পরামর্শক নিয়োগ, এভিয়েশন নিরাপত্তায় যুক্তরাজ্যের মডেল অনুসরণ করা, যুক্তরাজ্যের একক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া উল্লেখযোগ্য।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব শর্তে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি দেখে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলো যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
কেজেড/এসআইজে/এইচএ/