বুধবার (০৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ।
তিনি বলেন, প্লেন আকাশে উড্ডয়নের আগে ৩ ধাপে পরীক্ষা করা হয়।
ইমরান আসিফ বলেন, কোনো পাইলট ক্রুটিযুক্ত প্লেন নিয়ে আকাশে উড়তে চাইবেন না। সবারই জীবনের মায়া আছে। তিনি জেনেশুনে এতোগুলো মানুষের প্রাণহানী করতে চাইবেন?
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে দেশের এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক বিদেশি ও দেশি প্রকৌশলী রয়েছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, বিশ্বের খ্যাতনামা প্লেনগুলোতেও নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এটা নিছক একটা অঘটন। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই এ ঘটনাগুলো ঘটে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নীতিমালা মেনেই এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো পরিচালিত হয়। কেউ চাইলেই ব্যতিক্রম কিছু করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, প্লেনগুলোর মেরামতে বিশ্বের কয়েকটি নির্দিষ্ট কারখানায় কাজ করাতে হয়। এটা চাইলেই যেকোনো জায়গায় করানো সম্ভব নয়।
পাইলটের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশনের সহযোগিতার কারণে ফ্লাইটটি সেদিন নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। সিভিল এভিয়েশন ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা তদন্ত করবেন। এতে খানিকটা সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া সবুজ সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, তখন একটা চিন্তাই মাথায় ছিল কীভাবে প্লেন নিরাপদে ল্যান্ডিং করা যায়। তখন একটি টিমওয়ার্ক ও ২৩ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফুয়েল কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। ফুয়েল কমানোর জন্য আকাশে অনেকবার উড়তে হয়েছে। ফুয়েল কমলে আল্লাহর রহমতে প্লেনটি নিরাপদে ল্যান্ডিং করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাঈদ বিন রউফ, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম, সাবেক উইং কমান্ডার মো. হাসান মাসুদ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
টিএম/জেডএস