২০১৮ সালে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাঁচ তারকা পেয়ে এ তালিকায় জায়গা করে নিলো রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থাটি।
রোববার (২০ জানুয়ারি) বিমানের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ১২টি বিভিন্ন মানদণ্ড ব্যবহার করে বিশ্বের ৪০৫টি এয়ারলাইন্সের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকা তৈরি করেছে সংস্থাটি। সরকারি, বিশ্ব এভিয়েশন গভর্নিং বডি ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনগুলোর অডিটের আলোকে এই মানদণ্ড নিরূপণ করা হয়েছে।
আয়াটা অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় তিন তারকা পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কালো তালিকাভুক্ত না হওয়ায় পূর্ণ তারকা পেয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান। গত ১০ বছরে দুর্ঘটনা এড়াতে পারায় ও কোনো আরোহীর মৃত্যু না হওয়ায় আরেকটি পূর্ণ তারকা পেয়েছে বিমান। তবে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) অনুমোদন না থাকা ও ইকাওয়ের আটটি নিরাপত্তা প্যারামিটার সম্পন্ন না করায় বিমান দু’টি তারকা পায়নি।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বাংলানিউজকে বলেন, অতি নিরাপদ ও উন্নত যাত্রী সেবা দেওয়ার কারণেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বিমান। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিরাপদ ও উন্নত যাত্রী সেবা দিতে কাজ করছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ বিমান।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উপহার দেওয়া ডিসি-৩ উড়োজাহাজ দিয়ে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় বিমানের। বিমানের এয়ারলাইন কোড ‘বিজি’। এর উড়োজাহাজগুলো হলো- কিউ-৪০০, এ৩১০, ৭৩৭-৮০০ ও ৭৭৭-৩০০ইআর ও ৭৮৭ ড্রিমলাইনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
টিএম/জেডএস