বিমানের অবকাঠামোগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন; সেদিকে নজর রাখা দরকার। যা করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব আলী আরো বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত দাপটের সঙ্গে উড়োজাহাজের ব্যবসা করছে। কিন্তু তারাও এখনও পর্যন্ত লাভবান হতে পারেনি। যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা; তাই আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে।
পর্যটন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সম্ভাবনাময় স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া যে স্থানগুলো মানুষকে আকৃষ্ট করে; সেগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সামান্য সমুদ্র সৈকত নিয়েও থাইল্যান্ড বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করতে পারছে। তাদের তুলনায় অনেক বড় সমুদ্র সৈকত রয়েছে আমাদের এখানে। এগুলোর আরো উন্নয়ন করে পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা যাওয়ার রাস্তা নির্মাণ, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আরো উন্নয়ন কাজ ও কমলা রাণির দীঘির উন্নয়ন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।
সকাল ১১টার দিকে প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে এলে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তিনি দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময়ে অংশ নেন। সেখানে অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসআই