তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যম একীভূতকরণের যুগে তথ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দক্ষ ও সহজ। একটি পর্যটন গন্তব্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচারণার ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে।
'মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে পর্যটন গন্তব্য সম্পর্কে খবর নেয়। পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে তথ্য বিনিময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে সামাজিক গণমাধ্যম'।
মাহবুব আলী বলেন, ডব্লিটিসির ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন ও ভ্রমণ খাতের অবদান ছিল ৮৫০.৭ বিলিয়ন টাকা। এটা মোট জিডিপির ৪.৩ শতাংশ। ২০২৮ সাল নাগাদ তা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৬.৮ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০১৭ সালে ২৪ লাখ ৩২ হাজার কর্মসংস্থান তৈরিতে সরাসরি সহায়তা করেছে পর্যটন ও ভ্রমণ শিল্প। যা মোট কর্মসংস্থানের ৩.৮ শতাংশ। ২০২৮ সালের মধ্যে তা ৪.২ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সম্পদ ও সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। এখন প্রয়োজন আমাদের পর্যটন গন্তব্য গুলোকে সঠিকভাবে সুন্দরভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। এ ধরনের মেলার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের এ খাত বিদেশিদের আকর্ষণ করার পাশাপাশি আমাদের লাখ লাখ অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের দেশের ভেতরে পর্যটন গন্তব্য বেছে নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি তৌফিক উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাগমিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, আসাম ট্যুরিজম করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভাস্কর গোখান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ, ও টোয়াবের পরিচালক (ফেয়ার) তসলিম আমিন শোভন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
টিএম/এসএইচ