মূলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নরওয়ে, সুইডেন এবং ডেনমার্কে কার্যক্রম পরিচালনা করে বলে এসএএস বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন সিস্টেম নামে ডাকা হয় এয়ারলাইনটিকে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পাইলটদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নিয়ে গত মাস ধরে চলা আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা ধর্মঘট শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করে এয়ারলাইনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে এতে এসএএস’র পার্টনার এয়ারলাইনগুলো অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় যাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের তথ্য যাচাই করতে বলা হয়েছে (ধর্মঘটের অওতাভুক্ত এয়রলাইনে পড়েছে কিনা)।
এদিকে ধমর্ঘটের দ্রুত সমাধানে সব ধরনের করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য বলেছে এসএএস। আর জটিলতার সমাধান হয়ে গেলে পাইলটদের এহেন ‘কর্মকাণ্ড’ এয়ারলাইনের জন্য ‘খুবই নেতিবাচক ফলাফল’ হবে বলেও সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
পাইলটরা তাদের বেতন ১৩ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বহুদিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তাদের মাসিক গড় বেতন ৯৩ হাজার সুইস ক্রাউন (সাড়ে সাত হাজার পাউন্ড)। শুধু বেতন নয়, এসএএস’র অনেক পাইলটের নির্ধারিত কর্মঘণ্টা নেই বলেও দাবি করেছেন অনেকে। আর এসব সমস্যা সমাধানেই তাদের এ ধর্মঘট।
এক প্রতিবেদনে এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি প্রান্তিকে তাদের ধারণার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে এসবের পরও চলতি বছর বড় ধরনের মুনাফায় আশাবাদী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
জেডএস