ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

রিজিওনাল হাব হবে সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
রিজিওনাল হাব হবে সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

নীলফামারী: সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ কাজ আগামী বছর থেকে শুরু হবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারের পর সৈয়দপুরের আন্তর্জাতিক মানের এ বিমানবন্দর নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলে নুতন দিগন্ত উন্মোচন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করণের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন সংস্থার বিদ্যমান স্থাপনাসমূহ হস্তান্তর বিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  

আর এ কাজে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে উল্রেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ফলে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ তৈরি হবে এবং রিজিওনাল হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর ইসলাম বক্তব্য রাখেন।  

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহিবুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।  

মন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার উন্নয়নে এটি তার প্রমাণ। যা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি একটি কর্মযজ্ঞ। এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এর আওতায় পড়া মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সহযোগিতা এবং পুনর্বাসন করা হবে যথাযথভাবে।
 
তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার মানুষদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাওয়ার দ্বার উন্মোচন হবে।  

সড়ক বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, নেসকোসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন।
 
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার ফলে ৮৫২ দশমিক ৯০৭৮ একর জমির প্রয়োজন হচ্ছে। এরমধ্যে নীলফামারী অংশে ৫৩৫ দশমিক ১৩৭৮ একর এবং দিনাজপুর অংশে ৩১৭ দশমিক ৭৭০০ একর।
 
তিনি বলেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৭ ধারা নোটিশ জারি, জমির বিক্রয়াংক সংগ্রহ এবং অবকাঠামো ও গাছপালার মূল্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।