শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজ দুটির উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে আরোহণ করেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, সিভিল অ্যাভিয়েশন সচিব মহিবুল হক, বিমানের এমডি মোকাব্বির হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার প্রমুখ।
গত সেপ্টেম্বরে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ’রাজহংস’ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের জন্য আরও নতুন দুটি ড্রিমলাইনার কেনার ঘোষণা দেন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এ দুটি উড়োজাহাজ কিনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। পরে প্রায় ৪০টি নামের মধ্য থেকে দুটি নাম পছন্দ করা হয়। এর মধ্যে ‘সোনার তরী’ নামটি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ‘অচিন পাখি’ নামটি দেন শেখ রেহানা।
অত্যাধুনিক এই উড়োজাহাজ দুটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়টিতে।
এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের বহরে ড্রিমলাইনারের ‘আকাশবীণা’ ও ‘হংসবলাকা’ এবং চলতি বছরে যুক্ত হয় ‘গাঙচিল’ ও ’রাজহংস’।
বিমানের ‘অচিন পাখি’ ছাড়া বাকি ড্রিমলাইনারগুলোর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দিয়েছেন। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার একটানা ১৬ ঘণ্টার বেশি উড়তে পারে। অন্য উড়োজাহাজের চেয়ে এর জ্বালানি খরচও ২০ শতাংশ কম।
নতুন দুটিসহ বিমানের বহরে বর্তমানে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা ১২। বাকি ৬টি লিজে আনা। নিজস্ব ১২টি উড়োজাহাজের সবই বোয়িং কোম্পানি থেকে কেনা। এর মধ্যে ছয়টি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮, চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি ৭৩৭-৮০০। এছাড়া কানাডা থেকে কেনা তিনটি ড্যাশ-৮ আগামী বছর দেশে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এমইউএম/এসএ