ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো জানায়, ২০১৪ থেকে টানা ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল শতবর্ষী কান্তাস। গত বছর সে জায়গা হারালেও এবছর ফের শীর্ষস্থানে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানটি।
তালিকায় কান্তাসের পরেই রয়েছে এয়ার নিউজিল্যান্ড, তৃতীয়স্থানে তাইওয়ানের ইভা এয়ার, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ও কাতার এয়ারওয়েজ।
সেরা দশে থাকা বাকি এয়ারলাইন্সগুলো হলো- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন, এমিরেটস, আলাস্কা এয়ারলাইন্স, হংকংয়ের ক্যাথে প্যাসিফিক এবং ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া।
প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি কোনো উড়োজাহাজ সংস্থারই নাম আসেনি। সেখান বাদ পড়েছে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও আমেরিকান এয়ারলাইনের নামও। এ দু’টি উড়োজাহাজ সংস্থার নাম গত বছর ওপরের দিকে থাকলেও এবছর সেরা ২০টির মধ্যেও জায়গা হয়নি তাদের।
শুধু নিরাপদই নয়, সবচেয়ে সাশ্রয়ী এয়ারলাইন্সের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় সেরা দশে রয়েছে যথাক্রমে এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাইবি, ফ্রন্টিয়ার, এইচকে এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, জেটব্লু, ভলারিস, ভুয়েলিং, ওয়েস্টজেট ও উইজ। এ তালিকাতেও জায়গা হয়নি বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের।
প্রতিবছর বিশ্বের ৪০৫টি এয়ারলাইন্সের মধ্য থেকে সেরাদের তালিকা তৈরি করে এয়ারলাইনরেটিং ডটকম। এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা, গুরুতর বিষয়ের রেকর্ড, উড়োজাহাজের বয়স, আর্থিক অবস্থা, পাইলটদের ট্রেনিং-দক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের বিভিন্ন পরীক্ষা বা জরিপের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
একে