মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে কোনো ফ্লাইট ছেড়ে যায়নি। নামেনি বিদেশ থেকে আসা কোনো প্লেন।
অথচ ভোরবেলায় বেশ কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটএসে ঢাকায় নামে, যেগুলোতে থাকে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসা যাত্রীরা। কিন্তু ঘনকুয়াশার কারণে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টা থেকেই ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
ভোর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি ফ্লাইট ব্যাংকক, মান্ডালা ও কলকাতায় নামানো হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াশার কারণে ভোর থেকে ভিজিবিলিটি শূন্য হওয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে কোনো ফ্লাইট ছেড়ে যায়নি। ভোর পাঁচটা থেকে ভিজিবিলিটি একেবারে জিরো, এ অবস্থায় ওঠানামা করতে পারে না বিমান।
জানা গেছে, রানওয়েতে সাধারণত দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে উড়োজাহাজ ওঠানামা করে।
সাধারণত ভিজিবিলিটি বা দৃষ্টিসীমা তিন হাজার মিটার বা তার নিচে নামলেই আবহাওয়া অধিদপ্তর এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেয়, সেটি দুই হাজার বা তার নিচে আসলে তখন বিমান নামতেও পারে না।
কুয়াশা কাটলে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল আগের শিডিউল অনুযায়ী চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার সকালে বাংলাদেশে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারে নেমে এসেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
টিএম/এএটি