সোমবার (৯ মার্চ) থেকে কাতারে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারে বহু বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। ফলে যারা ছুটিতে এসেছেন, তারাও যেতে পারবেন না। নতুন করে আপাতত কোনো ভিসাও ইস্যু করবে না দেশটি।
জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে কাতারে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। কাতারের নিষেধাজ্ঞার কারণে এ তিনটি এয়ারলাইন্সই ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। কাতারের দোহাগামী ফ্লাইট পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এটা কাতার সরকারের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। তাই সাময়িকভাবে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের নাগরিকদের কাতারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে দোহা।
সোমবার (৯ মার্চ) থেকে এটি কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো− চীন, মিশর, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, লেবানন, নেপাল, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া ও থাইল্যান্ড। এছাড়া সতর্কতার অংশ হিসেবে করোনা উপদ্রুত ইতালির সঙ্গে ইতোমধ্যে প্লেন চলাচল স্থগিত করেছে কাতার এয়ারওয়েজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
টিএম/এএ