অন্যসব যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো প্লেন যোগাযোগও স্থবির হয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ পরবর্তী সময়ে এ স্থবির প্লেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে দু’বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে বৈশ্বিক ভ্রমণবিষয়ক এক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়।
অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ গ্রুপ নামের এ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে’ এমন ঘোষণার পরও বিশ্বে প্লেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে টানা দু’বছর সময় লাগবে।
সংস্থাটি জানায়, আনুমানিক ২০২০ সালের মাঝামাঝিতেও যদি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে স্থবির হয়ে যাওয়া প্লেন চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে ২০২৩ পর্যন্ত সময় লাগবে।
তাদের মতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ফিরে আসার পরিবর্তে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ব্যবস্থা চালু হবে সবার আগে।
অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ গ্রুপের প্লেন ভ্রমণ ‘স্বাভাবিক’ হওয়ার আনুমানিক সময়রেখা অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা করার পর প্রথম ৬ থেকে ৯ মাস কোভিড-১৯ উত্তর ভ্রমণগুলো চালু হবে।
সংস্থাটির ভাষায়, সেসময় সতর্ক ‘টিপটো ভ্রমণকারী দল’ ভ্রমণে বের হবেন। এই গ্রুপে কিছু ব্যবসায়ী ভ্রমণকারী থাকবেন। এটি প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত ও অবসরভিত্তিক ভ্রমণও হতে পারে। মূলত সেসময় অভ্যন্তরীণ রুটে ভ্রমণ শুরু হবে। চেকআপ করার জন্য কিছু দূরবর্তী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালু হতে পারে।
তাদের মতে, ৮ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে (২০২২ সালের মাঝামাঝি) আরও একটি দল ভ্রমণ শুরু করবে। তাদের বলা হচ্ছে, ‘অগ্রদূত’। এই গ্রুপটির নেতৃত্ব দেবেন ব্যবসায়ী ভ্রমণকারীরা। পাশাপাশি থাকবে মধ্য থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রায়শই প্লেনে চলাচলকারী ব্যক্তিরা, যাদের বছরে আয় এক লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার এবং তার চেয়ে বেশি। মূলত দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো তখন চালু হবে।
অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ গ্রুপের তথ্য মতে, ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে ভ্রমণ করতে শুরু করবেন ব্যবসার কাজে স্বাভাবিকভাবে প্লেনে চলাচল করা যাত্রীরা। ব্যবসায়িক প্রিমিয়াম কেবিনে করে তারা ভ্রমণ করবেন। ২০২২ সালের শেষের দিকে ব্যবসায়িক ভ্রমণ মূলত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তাদের তথ্য মতে, ১৬ থেকে ২৪ মাসের (২০২২ সালের পরে) মধ্যে সব প্লেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এবি