সম্প্রতি এ অনুমতি দেওয়া হয় বলে রোববার (১২ এপ্রিল) পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সংস্থাটি। ফলে এখন থেকে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করবে ইউএস-বাংলা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশপথের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। একমাত্র ইউএস-বাংলা একটি ফ্লাইট সপ্তাহের প্রতি শনিবার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে পরিচালনা করছে।
এতে আরো বলা হয়, করোনা দুর্যোগে দেশের আমদানি-রপ্তানি সচল রাখার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরকারের কাছে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ইউএস-বাংলাকে ইতোমধ্যে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে যাত্রী পরিবহন ছাড়াও কার্গো পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলার চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে আপদকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারি করোনা ভাইরাসের সময়কালীন স্বাস্থ্যসেবা সচল রাখতে চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্কসহ নানাবিধ পণ্য আমদানি করা হবে। এছাড়া জরুরি রপ্তানি পণ্য সামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এয়ারলাইন্সটির মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে কার্গো কম্বাইন্ডে প্রায় ২০ টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কার্গো পরিবহনে যেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সেসব দেশে কার্গো পরিবহন করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীন, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
টিএম/এএ