সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে দেশে লকডাউন জারিতে স্থবির প্লেন চলাচল। ফের উড্ডয়ন শুরু হলে উড়োজাহাজ জীবাণুমুক্ত করা বাধ্যতামূলক করাসহ নানা ধরনের নিরাপত্তা নির্দেশনা মানতে হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলোকে নতুন নিয়মেই চালাতে হবে ফ্লাইট। করোনার সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সীমিত পরিসরে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হলে আগের মতো শতভাগ যাত্রী নিতে পারবে না ফ্লাইটগুলো।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, সামাজিক দূরত্ব, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, কেবিন ও ককপিট ক্রুদের পিপিই ব্যবহার, এমনকি আসনেও পরিবর্তনসহ বেশ কিছু নতুনত্ব দেখা যাবে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) মহাপরিচালক আলেকজান্দ্রি দে জুনিয়াক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আইকাও কিংবা সরকার যদি উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে শারীরিক দূরত্ব কার্যকরের নির্দেশ দেয়, তবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আসন ফাঁকা থাকবে। এতে এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের টিকিটের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে হবে। না হলে দেউলিয়া হয়ে পড়তে হবে। কেননা পুরোনো দামে টিকিট বিক্রি করতে হলে বড় অঙ্কের লোকসান গুণতে হবে। ফলে সাশ্রয়ী উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হবে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্লেন চালাতে হবে। সকল এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন নিয়মে অন্তত ৪০-৪৫ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতে হবে। একটি বিমানবন্দরে তিনটি প্লেন একসঙ্গে যাওয়ার সক্ষমতা থাকলেও ৪৫ মিনিট পর পর প্লেনের যাত্রী আসবে। প্রতিটি উড়োজাহাজ অবতরণের পর সংক্রমণমুক্ত করাসহ বেশ কিছু সুরক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট কিনতে হবে।
অ্যাভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবির) মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নতুন গাইডলাইন মেনে প্লেন চালাতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তবে আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহনসহ নানা ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে বিমান ভাড়া বাড়তে পারে। ’
করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি বাড়ায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে প্লেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও তৃতীয় দফায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে বেবিচক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
টিএম/এনটি