শনিবার (১৬ মে) সংস্থাটির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ইতোমধ্যে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, কলকাতা ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব দেশের কার্গো ফ্লাইট চলাচলের চুক্তি রয়েছে, সেসব দেশে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশপথের পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে আন্তর্জাতিক রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়। করোনা ভাইরাসের দুর্যোগকালীন দেশের আমদানি-রপ্তানিকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বর্তমান অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারি করোনা ভাইরাসের সময়কালীন স্বাস্থ্যসেবাকে সচল রাখার জন্য চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আমদানি করতে সহায়তা করছে। এছাড়া জরুরি রপ্তানি পণ্যসামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানিতে ভুমিকা রাখছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ক্রান্তিকালে আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে পারছে। প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে প্রায় ১৫ টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে। ইউএস-বাংলা পরিচালিত আন্তর্জাতিক রুট সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, কলকাতা, চেন্নাই, গুয়াংজু, মাস্কাট, দোহাসহ এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে।
ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিম্নোক্ত নম্বরে ০১৭৭৭৭০৭৫০৩ যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
টিএম/আরবি/