বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সংস্থাটির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সময়কালীন যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা অামাদের অগ্রাধিকার।
এতে আরও বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন ঘণ্টার অধিক সময় ব্যয় করে প্রতিদিন এয়ারক্রাফটগুলোকে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে ধারাবাকিহভাবে জীবাণুমুক্ত করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়। শুধুমাত্র এয়ারক্রাফট নয় র্যাম্পকোচ, চেক-ইন কাউন্টার, যাত্রীদের লাগেজ এমনকি পরিধেয় জুতাও প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত করা হয়। ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় অন্তত দু’বার, যা চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করার পূর্ব মূহূর্তে ও এয়ারক্রাফটের প্রবেশমুখে। ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের অধিক তাপমাত্রা শরীরে থাকলে বোর্ডিং পাশ ইস্যু না করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীদের বিমানবন্দরে টার্মিনালের প্রবেশমুখে ইউএস-বাংলার বুথ থেকে সার্জিক্যাল মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে সব সম্ভাব্য স্থানে স্যানিটাইজিং করার ব্যবস্থা করেছে জানিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের মতো কেবিন ক্রু ও পাইলটসহ সব এয়ারলাইন্সকর্মী মাস্ক, হ্যান্ড গ্লভস, আই প্রটেক্টরসহ পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরিধান করে থাকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের আসন ব্যবস্থা নির্ধারণ করছে ইউএস-বাংলা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
টিএম/আরবি/