ঢাকা: জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে ঢাকা মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, কোথাও কোনো জঙ্গি তৎপরতা হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে দেখলে জড়িতদের ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করতে হবে।
‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে শুধু বক্তৃতাই নয়, সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হবে। ’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের হাল ধরার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিলে তিলে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তাই আওয়ামী লীগের গোড়া অনেক শক্ত, মজবুত। এদেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগই বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাই শহীদদের তালিকায় আওয়ামী লীগের নামই বেশি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীদের প্রতি দল ও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংগঠন গড়ে তুলতে হবে, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যাদের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব দিলাম, তারা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলবেন। সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি। ঢাকা শহরের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। শুধু ঢাকা শহর নয়, সারা দেশেই উন্নয়ন করছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে আমরা চলছি। সেই আদর্শে যাতে দেশ গড়ে তুলতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সেভাবেই পালন করবো। সারা বিশ্বের মানুষ দেখবে, আমরা আর দরিদ্র দেশ না।
অনেকটা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরে আসি, তখন আমরা কেউ ছিলো না। বাবা, মা, ভাই সবাইকে হারিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দেশবাসীই ছিলেন আমার আপনজন। আপনারাই আমার আপনজন। আপনাদের কারণেই আজ দেশের জন্য কাজ করতে পারছি। আমার বাবা এদেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষের জন্য তিনি জীবন দিয়ে গেছেন। বাবার মতোই আমি এদেশের মানুষের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৬
এসকে/এমএ/এএসআর